প্রায় ৪০ বছর আগে দৈনিক ইত্তেফাকে ‘বিড়ম্বিত চিকিৎসা প্রার্থী এবং চিকিৎসক সমাজ’ শিরোনামে একটি লেখায় চিকিৎসকদের উদ্দেশে আমি প্রশ্ন তুলে বলেছিলাম, ‘যে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তারা চিকিৎসা পেশায় এসেছেন, কর্মক্ষেত্রে সেই শপথ তারা পালন করছেন কিনা?’ আর সেই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কেউ কেউ আমাকে সাধুবাদ জানালেও পাশাপাশি দু-একজন আমার প্রতি সাবধান বাণীও উচ্চারণ করেছিলেন। যাদের একজন ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আহসানউল্লাহ। ডা. আহসানউল্লাহ আমার প্রিয়ভাজন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘ভাই ডাক্তারদের আপনি চেনেন না বা তাদের সংগঠনের ক্ষমতাও আপনি জানেন না, ডাক্তারদের বিষয়ে আপনি যেসব কথা লিখেছেন, তাতে আপনার বিরুদ্ধে তাদের কেউবা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা ঠুকে দেওয়া হতে পারে!’ সে সময় বয়স কম থাকায় ভয়ভীতিও কম ছিল, সুতরাং আমার সুহৃদ ডাক্তারের সেই কথাটি মোটেও আমাকে বিচলিত করতে পারেনি। বরং তারও বছর বিশেক পর অমর একুশের বইমেলায় আমার লেখা প্রবন্ধগুলো সংকলিত করে ‘জ্বলছে মানুষ চলছে দেশ’ নামক গ্রন্থটিতে প্রকাশক কর্তৃক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সেই লেখাটি স্থান দেওয়ার বিষয়টিতেও আমি সম্মতি প্রদান করেছিলাম। তারপর আরও ২০ বছর পার হয়ে বর্তমান বয়সে এসে মামলা-মোকদ্দমার কথা শুনলে আমার মনটা আর আগের মতো শক্ত থাকে না; কোনো অনিয়ম বা অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বা কোনো কিছু লিখতে গেলে মনটাকে যেন আগের মতো বলিষ্ঠ স্থানে নিয়ে যেতে পারি না। আবার এসব ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার যে অবস্থা সেদিকে তাকালেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে যাওয়া বোকামিই মনে হয়। কারণ চারদিকে অপরাধীদেরই যেন জয়জয়কার! কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যায়, অবিচার, অপরাধের ঘটনাগুলো দেখেশুনে সেসব বিষয়ে আমরা সবাই যে একদম চুপচাপ থাকতে পারব না সে কথাটিও আবার সত্যি! এ অবস্থায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের দেশে অবহেলা, অব্যবস্থাপনা, অন্যায়ের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, দেশের মানুষের ভোগান্তির যেসব রকমফের ঘটে চলেছে এবং কোনো সরকারই যে এসবের প্রতিকার করে উঠতে পারছে না সেসবের বিরুদ্ধেও আমাদের কারও না কারও কথা বলা দরকার বলেই মনে করি। কারণ চিকিৎসাসেবার নামে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অন্যায়, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, একশ্রেণির হাসপাতাল ব্যবসায়ী এবং ডাক্তারদের অনৈতিক এবং বেআইনি কার্যক্রম দেখেশুনে নিজেকে আড়াল করে মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটাও একধরনের অপরাধ বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। সুতরাং আর কথা না বাড়িয়ে তেমন সব দু-একটি ঘটনা জেনে নিয়ে সেসব বিষয়েই কিছু বলা যাক।
আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কেচ্ছাকাহিনি বলতে গেলে অনেক কিছুই উল্লেখ করতে হয়, পত্রিকার স্বল্পপরিসরে যা সম্ভব নয়। কারণ সরকারি হাসপাতালের ওষুধ চুরি থেকে শুরু করে টিকিট কাউন্টারে দালালের দৌরাত্ম্য, নির্ধারিত সময়ে ডাক্তারের অনুপস্থিতি, ডাক্তার হিসেবে সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ক্লিনিক পরিচালনা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওষুধ ক্রয় সিন্ডিকেট ইত্যাদি ঘটনায় অনেক চিকিৎসক আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত এবং এসব ঘটনা সবাই জানেন বিধায় সেসব কথা আর নাই বা উল্লেখ করলাম! অতঃপর রাজধানী ঢাকা শহরের বড় বড় নামিদামি কিছু হাসপাতালে চিকিৎসার নামে যা চলছে, যেভাবে মানুষের গলা কাটা হচ্ছে, রোগীদের ওপর অন্যায়, অত্যাচার চালানো হচ্ছে, ঠকানো হচ্ছে তেমন একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেই লেখাটির উপসংহার টানতে চাই।
স্থান রাজধানীর নামকরা একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ভিভিআইপি রোগীর পদচারণে যে হাসপাতালটি কিছুদিনের মধ্যেই মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা লাভ করেছে। ফলে হাসপাতালটির ব্যবসায়ে ব্যাপক প্রসার ঘটায় দিনরাত সেখানে রোগী গিজগিজ করে! আর সেই হাসপাতালেরই অভ্যন্তরে সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে কী ঘটনা ঘটে বা কী ঘটানো হয়, এখানে তারই একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে চাই।
হাসপাতালটির গ্যাস্ট্রো-এন্ট্রো বিভাগে কয়েকজন ডাক্তার থাকলেও তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা রমরমা। সেখানে গেলেই ফ্রন্ট ডেস্কে থাকা লোকজন তাকে দিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করানোর জন্যই তৎপরতা দেখান। সে অবস্থায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর একজন রোগীর এন্ডোস্কোপি এবং ক্লোনস্কোপির তারিখ দিয়ে পূর্বদিন সন্ধ্যার খাবার গ্রহণের পর আর কিছু না খেয়ে খালি পেটে হাসপাতাল ফার্মেসি থেকে Mannitol স্যালাইন কিনে সকাল ১০টায় আসতে বলা হয়। রোগীটি সেসব পালন করে স্যালাইনসহ সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে উপস্থিত হন। পরীক্ষানিরীক্ষার ফি বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধের পর তাকে ভিতরে নিয়ে পাঁচ-ছয় দফায় স্যালাইন খাইয়ে চার ঘণ্টা ধরে পেট পরিষ্কার করিয়ে পেটে অবশিষ্ট কোনো পার্টিকেল না থাকার প্রমাণ দেখে বেলা ৩টার পর ডিউটি নার্স তাকে প্রসিডিউর রুমে নিয়ে জানান যে পনেরো-বিশ মিনিট পরই ডাক্তার এসে প্রসিডিউর শুরু করে দেবেন। অতঃপর প্রসিডিউর রুমের দরজায় নার্সসহ অন্য টেকনিশিয়ানরা উৎসুকভাবে ডাক্তারের অপেক্ষায় থাকাবস্থায় ত্রিশ মিনিট পার হয়ে গেলেও ডাক্তার না আসায় জানা গেল তিনি একটি মিটিংয়ে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন। এ ঘটনার এক ঘণ্টা পরও ডাক্তার না আসায় রোগী নিজেই প্রশ্ন করায় তারা জানান, মিটিং শেষে তিনি চেম্বারে ফিরে আবার রোগী দেখা শুরু করেছেন। দুজন রোগী দেখে এখনই চলে আসবেন। সে অবস্থায় ভুক্তভোগী নার্সদের জানান তিনি একজন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগে রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ মানুষ, ১৮ ঘণ্টা তিনি অভুক্ত। তার শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়েছে! এ কথা শোনার পর উপস্থিত নার্সরা রোগীর হাতে করে রাখা ক্যানুলার মাধ্যমে তাকে স্যালাইন প্রয়োগ করেন। আরও অনেকক্ষণ পার হলেও ডাক্তার না আসায় দরজায় অপেক্ষারত নার্সরা জানান, রোগী দেখা শেষ হয়েছে। এখন তিনি রুম লক করে ভিতরে অবস্থান করে টেলিফোনে কথা বলছেন, স্যারের পরিবার স্পেনে আছে। এত সব ঘটনার আরও অনেকক্ষণ পর এবারে তারা বলাবলি করলেন যে নামাজ পড়ে তিনি প্রসিডিউর রুমে আসবেন। অতঃপর আরও ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ মিনিট পর বিকাল ৫টার দিকে তিনি এসে রোগীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে ধমকে বললেন, ‘যান বিছানায় যান, আপনি আমার রিদম্ নষ্ট করে দিয়েছেন!’ অর্থাৎ রোগীর শরীরের কাঁপুনি, স্যালাইন প্রদান ইত্যাদি ঘটনা তার জন্য নার্স-কর্মচারীরদের অপেক্ষার ঘটনাটি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন! সে অবস্থায় ভুক্তভোগী এমন একজন ক্রোধান্বিত ডাক্তার দ্বারা এন্ডোস্কোপি, ক্লোনস্কোপির মতো স্পর্শকাতর প্রসিডিউর করাতে না চেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির প্রতিবাদস্বরূপ বাড়ি ফিরে যেতে চাইলেও অবশেষে বিছানায় শুয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে অচেতন করার দেড়-দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি চেতনা ফিরে পেলে একজন জুনিয়র ডাক্তার এসে তার হাতে রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে বলেন তার পেটে নতুন করে (ফ্রেশ) ক্ষত (হেমারেজ) সৃষ্টি হয়ে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ায় সেই রক্ত বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইনজেকশন প্রদান ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে বিধায় অতিরিক্ত আরও টাকা জমা করার জন্য মোটা অঙ্কের একটি বিলও ধরিয়ে দেন। রোগী তার এটেনডেন্টের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডে সে অর্থও পরিশোধ করার পর তার পাকস্থলীতে নতুন ক্ষত এবং হেমারেজের বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলা হয়, আজকে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব নয়। যে রিপোর্টগুলো করাতে বলা হয়েছে সেগুলো করিয়ে পরশু দিন আসুন। তার পরদিন ডাক্তার বিদেশ চলে যাবেন। সে অবস্থায় ভুক্তভোগী তার হাতে প্রদত্ত সেদিনের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বলেন আর কী পরীক্ষা করাবেন, আমার লিভারের টেস্ট করাতে আমি এখানে আসিনি। এসেছিলাম এন্ডোস্কোপি, ক্লোনস্কোপি টেস্ট করাতে। কিন্তু আপনারা কি একটা মেশিনে আমার লিভারও পরীক্ষা করেছেন। যার প্রয়োজন ছিল না। তারপর আবারও লিভারের জন্য রক্ত পরীক্ষাসহ পেটের আলটাসনোগ্রাম এবং অন্য আরও বিশ-বাইশ পদের পরীক্ষা কেন করাতে হবে? প্রত্যুত্তরে রোগীকে জানানো হয়, চিকিৎসক একজন লিভার বিশেষজ্ঞও বটে এবং তাকে হাসপাতালের যেসব কক্ষে টেস্টগুলো করাতে হবে সেসব বিভাগের রুম নম্বর উল্লেখ করে টেস্টগুলো করিয়ে ১৭ তারিখে আসতে বলা হয়! উল্লেখ্য যেসব টেস্টের কথা বলা হয় তার বেশ কয়েকটি টেস্ট আগে করানো ছিল এবং নথিতে তা দেওয়া হয়েছিল বিধায় ভুক্তভোগী দুর্বল শরীরে সেদিন টেস্ট না করিয়ে বাড়ি ফিরে যান এবং এক দিন পর নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত হলে পুনরায় ডাক্তার দেখানোর ফি বাবদ অর্থ জমা করিয়ে বসতে বলা হয় এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো সেদিনও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর তাকে ডাকা হয়! অতঃপর ডাক্তারের সামনে বসে যেসব রিপোর্ট নথিতে ছিল তাকে সেসব দেখানো হলে, তিনি বলেন ওসব তিনি আগেই দেখেছেন। এক মাসের পুরাতন রিপোর্ট, নতুন করে আবার করাতে হবে। সে অবস্থায় নতুন করে আরও ২০-২২টি রিপোর্ট করানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রশ্ন করায় চিকিৎসক তার সহকারীর উদ্দেশে বিরক্তির সুরে বলে ওঠেন, ‘এই ওনার রিপোর্টের তালিকা কিছুটা কমিয়ে দাও!’ এ অবস্থায় পরশু দিনের এন্ডোস্কোপি রিপোর্টে নতুন হেমারেজে ফ্রেশ ব্লাড যাওয়ার বিষয়টি তোলা হলে চিকিৎসক বলেন, এসব ম্যানেজমেন্টের জন্য আপনাকে এখানে ভর্তি হতে হবে। যা আমি লিখে দিচ্ছি! জবাবে রোগী কিছু বলতে চাইলে এবার তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনার সাথে তো এত কথা বলা যাবে না। আপনি তো কিছু বোঝেন না!’ অবশেষে রোগী আর কোনো কিছু না বলে বের হয়ে তার সহকারীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি তো শুনলেন, রোগীর সঙ্গে ডাক্তার সাহেবের এমন খারাপ আচরণের কারণ কি?’ তখন তিনি জানান যে উনি কাল বিদেশ চলে যাবেন তো!
লেখাটি আর দীর্ঘায়িত না করে উপসংহারে বলতে চাই, যে ঘটনাটি এখানে তুলে ধরা হলো তার সম্পূর্ণ প্রমাণ আমার হাতে আছে। ইচ্ছা করলে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা থেকে শুরু করে, স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয় লোক পাঠিয়ে আমার কাছ থেকে সেসব প্রমাণপত্র নিয়ে যেতে পারেন এবং এসব অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্য খাত যাদের হাতে ন্যস্ত সেসব কর্তা ব্যক্তি এদিকে যাবেন বলে মনে হয় না! কারণ তারা যদি তেমন মনমানসিকতা বা শক্তিসামর্থ্য নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালনা করতেন, তাহলে তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশের মানুষকে এত সব অসহনীয় ভোগান্তি সহ্য করতে হতো না। এ ক্ষেত্রে এত অনিয়ম, অনাচার, দুর্নীতি দানা বেঁধে উঠতে পারত না!
তারপরও দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতির কথা এবং তথ্য দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা এবং এ ক্ষেত্রে নিজের দায়বদ্ধতা পালনের দৃষ্টিকোণ থেকে কথাগুলো না বলেও থাকতে পারলাম না! কারণ আমার দৃঢ় বিশ্বাস একদিন না একদিন এদেশ থেকে স্বাস্থ্য খাতের এসব অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ হবেই। দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন-জির বন্ধুরা রুখে দাঁড়িয়ে সেসব লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় লুটেরা চক্র যেভাবে দেশের মানুষের কাছে গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, একইভাবে স্বাস্থ্য খাতে ভালো মানুষের মুখোশধারী অর্থলিপ্সু অমানুষদেরও এ দেশের মানুষ একদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে! আর সেদিনটির জন্য আমরা না আরও কিছুদিন অপেক্ষা করব, একটি সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য খাত আমরা দেখে যেতে না পারলেও আগামী প্রজন্ম যেন সে সুযোগ পায়, সেজন্য না হয় আমরা এ বয়সেও শরীরের বাকি শক্তিটুকু দিয়েই যুদ্ধ করে যাব!
লেখক : কলামিস্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা