বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিজের কষ্ট ভুলে জানতে চায়- কেমন আছ?

কাঞ্চনা আরাচ্চি

নিজের কষ্ট ভুলে জানতে চায়- কেমন আছ?

বাংলাদেশে প্রথম এসেই এ দেশের মানুষের আন্তরিকতাকে ভালোবেসে ফেলেছি। খুব নতুন একটা দেশ। অল্প কিছুদিন হলো জন্ম হয়েছে। অথচ আনকোরা একটি দেশ হিসেবেও অল্প কিছুদিনের ভেতরে কেবল অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রযুক্তি এসব ক্ষেত্রেই উন্নতি করেনি দেশটি। আগলে রেখেছে নিজের সম্পদগুলোকেও। এ দেশের সৌন্দর্য অতুলনীয়। বিশেষ করে পতেঙ্গা, সিলেট, কঙ্বাজার আর রাঙামাটিকে তো আমি অনেক বেশি উপভোগ করেছি। ওখানকার কিছু স্থান আমার খুব প্রিয়। তবে এসব কিছুর পরেও এখানকার মানুষের সবচাইতে সেরা দিকটি হলো যে কোনো অবস্থাতেই নিজেদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। নিজের কষ্ট ভুলে জানতে চায়- কেমন আছ? এখানে আসার পর বেশকিছু উৎসবে যোগ দিয়েছি আমি। আমার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে। আর তাই এখানেই আমার বেশির ভাগ সময় কেটেছে বাংলাদেশে আসার পর। বাংলাদেশের উৎসবগুলো তাই মূলত চট্টগ্রামের মানুষগুলোর মাধ্যমেই দেখেছি আমি। আর সেগুলোর ভেতরে সবচাইতে রঙিন, জাঁকজমকপূর্ণ আর ভালো লেগেছে পয়লা বৈশাখকে। ২০১১ সালে প্রথম এ দেশে আসি আমি অনার্স শেষ করতে। তারপর গত চার বছরে আমি বেশ ক'বার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছি বাংলাদেশে। অনেক চমৎকার ব্যাপার ছিল সেটা। রোজা রাখার যে আত্দিক একটা অনুভব সেটা আমি পেয়েছি এখানে আমার মুসলিম বন্ধুদের কাছ থেকে। বিশেষ করে ইফতার এবং ঈদের সময় নতুন জামা পরে তাদের আনন্দ করাকে খুব উপভোগ করেছি আমি। একই ঘরে থাকায় সেগুলো ছুঁয়ে গেছে আমাকেও। আমি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তাই শ্রীলঙ্কায় মুসলিম না হওয়ায় কয়েক বছর আগেও আমি এতটা জানতে পারিনি ঈদকে যতটা এখন জানি। এখানকার ঈদের সবকিছু ভালো লাগে আমার। খাবার, বিশেষ করে দই, খেজুর আর মুড়ি খেতে পছন্দ করি আমি। ভালো লাগে শাড়ি পরতে। শাড়ি পরা, বেড়াতে যাওয়া সবকিছু বেশ আগ্রহ নিয়ে করি আমি। আর সবচেয়ে ভালো লাগে ঈদের সময় ওদের ভেতরকার আন্তরিক বিশ্বাসকে।

পেশা : শিক্ষার্থী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, দেশ : শ্রীলঙ্কা

 

 

সর্বশেষ খবর