শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ জুন, ২০১৯

রাজনীতিবিদদের ঈদ

প্রিন্ট ভার্সন
রাজনীতিবিদদের ঈদ

স্মৃতির পাতায় ঈদ

তোফায়েল আহমেদ

শৈশবের ঈদের স্মৃতি সুমধুর। আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামে ঈদ উৎসব উদযাপন অন্য রকমের। ছোটবেলায় ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে একত্রিত হতাম। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে নানারকম সুস্বাদু খাবার সেমাই, ফিরনি খেতাম। গরিব, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, ধনী নির্বিশেষে সবাই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের আপ্যায়ন করত, আদর করত। আবার কোনো কোনো বাড়িতে গেলে ১ বা ২ টাকা করে বখশিশ দিত; সেই ১, ২ টাকা যে কত মধুর আর আনন্দের, আজ তা বুঝিয়ে বলতে পারব না। তারপর ধীরে ধীরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে জুনিয়র স্কুল, হাইস্কুল, সেখান থেকে গভর্নমেন্ট হাইস্কুল; সে সময় প্রত্যেকটা ঈদ বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে উদযাপন করতাম।

আমার জীবনে শুধু জেলখানা ব্যতীত, কোনোদিন বাবা-মাকে ছাড়া ঈদ করিনি। আজ মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। ঘুম থেকে উঠলে মা বুকে টেনে নিতেন। চুমু দিতেন। গোসল করাতেন। আদর করতেন। নতুন জামা পরিয়ে দিতেন। সে এক মধুর স্মৃতি। আজও ভুলতে পারিনি। সবচেয়ে খারাপ লাগত কারারুদ্ধ অবস্থায়। আমি সাতবার কারাগারে বন্দী ছিলাম। ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, আবার কুষ্টিয়া এবং কাশিমপুর কারাগারে। কারাগারের মধ্যে যারা সহবন্দী ছিলেন, আমরা আনন্দ করে একসঙ্গে খেতাম।

♦   উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ

 

গ্রামীণ সেই নির্মল ঈদ আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। আমাদের শৈশব-কৈশোরের ঈদ আনন্দ ছিল খুবই উপভোগ্য। অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বলতে গেলে গ্রামীণ নির্মল ঈদ আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। হৃদয় নিংড়ানো সেই ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধেও কেমন যেন ভাটা পড়েছে। মায়া-মমতা, মানবিক মূল্যবোধ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। বাহাত্তরোর্ধ্ব এ প্রবীণ বয়সে ঈদ নিয়ে এখন আর আবেগ ও উচ্ছ্বাস নেই। ছেলেমেয়ের ঘরের নাতি মাশরাফ, মিশরাক, মিরাফ ও রিশানকে নিয়েই ঈদ আনন্দের অনেকটা সময় কেটে যায়। এ ছাড়া ঈদের দিন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পরের দিন আত্মীয়-স্বজনদের সরব উপস্থিতিতে গুলশানের বাসায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকি। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নিজ গ্রাম গয়েশপুর ও মাতুতালয় নাগেরকান্দি গ্রামে আমার শৈশব ও কৈশোরের আনন্দমুখর দিনগুলো কেটেছে। আমি পঞ্চাশের দশকের কথা বলছি। তখন ঈদে নতুন জামা, প্যান্ট কিংবা পাঞ্জাবি-পায়জামা ও জুতা-ই ছিল আমাদের প্রধান দাবি। ঈদের দিন সকালে মায়ের হাতে রান্না মিষ্টিদ্রব্য খেয়ে বাবার সঙ্গে ঈদের জামাতে যেতাম। নামাজ শেষে মুরব্বিদের কাছ থেকে সেলামির টাকা নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলত। চাচাতো-জেঠাতো ও মামাতো ভাই-বোনদের কে কত  সেলামির টাকা পেল? এ নিয়ে কত চিৎকার-চেঁচামেচি, হইহুল্লোড়।

♦    স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

 

শৈশবের ঈদের সঙ্গে এখন অনেক পার্থক্য

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

শৈশব-কৈশোরে বছরজুড়েই দুটি ঈদের (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) অপেক্ষায় থাকতাম। ওই অপেক্ষা যেন শেষ হতো না। তবে ওই সময়কার ঈদ আর এখনকার ঈদের সঙ্গে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে ঈদের আনন্দেও পরিবর্তন এসেছে। আগে ঈদ সেলামি পেতাম। এখন দিতে হয়। শুধু তাই নয়, পরিবার, সমাজ ও নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হয়। এখনকার ঈদে পরিবর্তন হয়েছে মানসিকতারও। ছোটকালের ঈদে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে হইহুল্লোড়, ঘোরাঘুরি, ছোটাছুটিসহ নানা আনন্দ করা হতো। বাবা-মা, ভাইবোনসহ আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে নানা উপহারসামগ্রী পেতাম। ঈদের দিন ঈদ সেলামিও পেতাম। অবশ্য এখন সেভাবে ঈদ সেলামি নেই। ওই সময় যে আনন্দ ছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এখন অবশ্য আমাদের উপহারসামগ্রী কিংবা ঈদ সেলামি দিতে হয়। এর মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ রয়েছে। তবে শৈশবের আনন্দের মতো নয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এখন আমাদের মানসিক পরিবর্তনও হয়েছে। অবশ্য এখনো পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি ঈদ উদযাপন করছি। এটাই বড় আনন্দের বিষয়। ওই সময়ের ঈদে ধর্মীয় ভাবাবেগও ছিল। প্রকৃতির নির্মলতায় ছিল আনন্দ উৎসব। এখন সবকিছুই মনে হয় আর্টিফিশিয়াল হয়ে গেছে।

♦   মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি

 

শৈশবের ঈদের  চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

শৈশবে ঈদের চেয়ে জীবনে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। ঈদ কবে আসবে সেই অপেক্ষায় থাকতাম। পুরো রমজান মাসেই ঈদের প্রস্তুতি নিতাম। ঈদের আগের রাত থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হতো। পুরো রাতেই নির্ঘুম থাকতাম। কখন সকাল হবে, সে জন্য অপেক্ষা। ফজরের নামাজের প্রস্তুতিও থাকত। নতুন জামা-কাপড়ের সঙ্গে অন্যসব কাপড়চোপড় আগের রাতেই লন্ড্রি করে রাখা হতো। ঈদের দিন বিকাল হলেই মনে হতো সবকিছুই শেষ হয়ে গেল। ঈদের দিন আমার গ্রামের বাড়ি কাটঠুলি নাজির বাড়িতে পরিবারের সবার পাশাপাশি সব আত্মীয়-স্বজনদের মিলনমেলা বসত। আমরা পাঁচ ভাই পাঁচ বোন। আমরা চাচাতো ভাই মিলে সতেরোজন একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমাদের একসঙ্গে ৩০টির মতো বাড়ি ছিল। আমাদের ছিল বড় গোষ্ঠী। তাতে ঈদের দিন আমাদের গোষ্ঠীরই প্রায় শতাধিক একসঙ্গে ঈদগাহে যেতাম। আমাদের পারিবারিক মসজিদ মাঠেই ঈদের নামাজ আদায় করতাম। এখনো আমি চট্টগ্রামেই ঈদ উদযাপন করি। এখনকার ঈদ ভিন্ন। এখন ঈদের আর সেই আনন্দ পাই না। এখন দায়িত্ব নিতে হয়। সবারই খোঁজখবর নিতে হয়। আগে আমার খোঁজ নিত সবাই। এখন পরিবার, আত্মীয়স্বজন, সমাজ এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নিতেই সময় শেষ হয়ে যায়। গরিব মানুষদের খোঁজখবরও নিতে হয়। আমাদের পরিবারের সবাই ঈদের নামাজ পড়ে খিমা আর পরোটা দিয়ে নাস্তা করি।

♦  স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

 

+ছোটবেলার ঈদ ছিল অকৃত্রিম

জিএম কাদের

ছোটবেলার ঈদ ছিল অনেক বেশি আনন্দের। ছিল অকৃত্রিম। শৈশবের ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য। শৈশবে রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা করতাম কখন ঈদ হবে। কখন নতুন জামা-কাপড় কিনব। কখন পরব। ঈদের দিন বাবার হাত ধরে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়া সে যে কী আনন্দ। আমাদের সময়ে নিজেরাই সেমাই তৈরি করতাম। নতুন জামা দর্জির কাছে তৈরি করে ঈদের আগের রাতে ধুয়ে ইস্ত্রি করতাম, এখন আর এসব নেই। এখন এসব লৌকিকতা হয়ে গেছে। ভালোবাসা আছে, আনন্দ আছে, তবে তা কম। এখন প্রতিদিন ইফতার পার্টি করতে হয়। রাষ্ট্র, সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে হয়। রংপুর এবং ঢাকায় দুই জায়গায় বছরে দুই ঈদ করি। ঈদের দিন আমার সন্তান সমতুল্য নেতা-কর্মীরা আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তিনি। ঈদ মানেই আনন্দ। স্থান-কাল-পাত্রভেদে এই আনন্দে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রূপ। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে ঈদের আনন্দের ধরনেও পরিবর্তন আসে। শৈশবের ঈদের সঙ্গে পরিণত বয়সের ঈদের তুলনা করলেই পার্থক্যটা স্পষ্ট বোঝা যায়। তবে ঈদ সব সময়ই আনন্দের। ছোটবেলায় সব বয়সী ও বন্ধুবান্ধব একত্রিত হয়ে নতুন কাপড় পরে বাড়ি বাড়ি যেতাম।

♦   ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি

 

এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি

মেহের আফরোজ চুমকি

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। সে ছোটবেলা কিংবা বর্তমানেও। ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে। ছোটবেলায় দায়িত্ব ছিল না, এখন দায়িত্ব পালন করতে হয়। আগে ঈদের দিন মা রান্না করতেন, এখন নিজে করি। এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। ছোটবেলায় ঈদের আগেই নিজের নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এখন এলাকার গরিব-অসহায় মানুষগুলোকে নতুন জামা কাপড় বিতরণ করব-এ নিয়ে প্রস্তুতি নিই। এখন ঈদে আগের প্রজন্ম আর এখনকার প্রজন্মের অনেক দূরত্ব দেখা যায়। আমরা ঈদের সকালে মায়ের হাতে রান্না পোলাও কোরমা খেয়ে বন্ধু-বান্ধবের বাসায় যেতাম। নানার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে খুব কম যায়। প্রযুক্তির কল্যাণে তারা ফেসবুক নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনগুলো কমে গেছে বলে মনে হয়। বাবার হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে আগমন। আমার বাবা মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন। আমিও তার দেখানো কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমার নির্বাচনী এলাকার সবাইকে আমার পরিবারের সদস্য হিসেবেই মনে করি। ঈদে সাধ্যমতো গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। ঈদের আনন্দ তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিই। এতে অন্যরকম আনন্দ আছে।

♦   সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ

 

আগের ঈদগুলো অনেক সরল  ছিল

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি

ছোটবেলার ঈদ ছিল অত্যন্ত সরল। অসম্ভব আনন্দের ছিল। পরিবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনেক মজা করতাম। সুন্দর সুন্দর নতুন জামা-কাপড় পরতাম। ঈদের আগে থেকেই পরিকল্পনা থাকত কীভাবে ঈদ উদযাপন করব। আগে ঈদে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে  হৈচৈ করে কাটাতাম। আসলেই আগের ঈদগুলো অনেক সরল ছিল। এখন নিজের ঈদের চেয়ে পরের ঈদ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। এখন শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলেই চলে না, পরিবার পরিজন-আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীকেও ভাবতে হয়। নতুন জামা-কাপড় পেয়ে আগে আনন্দে মেতে উঠতাম, এখন অন্যকে দিতে পেরে আনন্দ পাই। আমার কারণে যখন মানুষের মুখে হাসি দেখতে পাই, তখন পরম আনন্দ পাই। ঈদ আমাদের জীবনে সমতার বার্তা দেয়। একে অপরের পাশে থাকতে শেখায়।

ঈদের দিন সকালে গণভবনে গিয়ে প্রিয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম করি। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে সময় কাটাই। আগে মায়ের হাতের মজার মজার রান্না খেতাম। এখন নিজেই রান্না করি। ছোটবেলার ঈদ ছিল আনন্দের। আর এখন ঈদ দায়িত্বের। অবশ্য দায়িত্ব পালনে অনেক মজা রয়েছে। সামান্য কিছু বিতরণ ও সহায়তার মাধ্যমে মানুষের মুখে যে হাসির ঝিলিক দেখতে পাই, তাতে অনেক তৃপ্তি পাই।

♦   সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ, আওয়ামী লীগ

 

শৈশবে ঈদ ছিল মহা-আনন্দের ফোয়ারা

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু

শৈশবে ঈদ ছিল একটা মহা-আনন্দের ফোয়ারা। ঈদের আগেই বাবা-মা জামা-কাপড় কিনে দিতেন। ঈদের নামাজ পড়েই সেমাই-ফিরনি খেয়ে বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে দল বেঁধে যেতাম। সারা দিন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। অনাবিল আনন্দে নেচে উঠত মন। অর্থাৎ উল্লাসের মধ্য দিয়ে ঈদানন্দ পালন করতাম। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম। প্রতিটি ঘরে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। ঈদ মানেই ছিল আনন্দ। তখনকার সময়ে ঈদকে কেন্দ্র করে দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার শঙ্কা ছিল না। ছিল না আতঙ্ক। মানুষের বিত্তের প্রাচুর্য ছিল না ঠিকই কিন্তু চিত্তের প্রাচুর্য ছিল। মানুষ সহজ-সরল জীবনযাপন করত। তখন প্রায় সবাই শহর থেকে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে আসতেন। গ্রামেই ছিল শান্তি। মানসিক প্রশান্তি যে দারিদ্র্যকে সাময়িকভাবে পরাস্ত করতে পারে তা দেখেছি ছোটবেলাতে। তখন ছিল না জটিলতা, ছিল না কোনো কপটতা। মানুষের মনে ছিল না অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। শাশ্বত বাংলার ভালোবাসা মানুষের মনজুড়ে ছিল। বর্তমানে আমরা ঈদে দেখি বাড়ি যাওয়ার বিড়ম্বনা। সড়কে লাশের মিছিল। ঈদানন্দ পরিণত হয় শোকে। ছোটবেলা থেকেই গ্রামের বাড়ি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে আসছি। বাবা-মা শিখিয়েছেন বাড়িতে ঈদ করতে হবে। এখন পরিবার বড় হলেও তা পালন করে চলেছি।

♦   প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় পার্টি

 

শৈশবে একটি জামাকে ঘিরে ছিল ঈদানন্দ

শিরিন আখতার

শৈশবের ঈদ ছিল অন্যরকম। একটা জামাকে ঘিরে ছিল ঈদের আনন্দ। ঈদে একটা নতুন জামা ছিল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এখন ঈদে অনেক জামা-কাপড় কেনা হলেও সেই আনন্দ আর নেই। আমরা আজিমপুর কলোনিতে থাকতাম। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের বাড়িতে ঘুরে বেড়ানো ছিল আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ। এরপর যখন নবম-দশম শ্রেণিতে উঠলাম তখন থেকে ঈদে আর ছোটবেলার মতো সেই আনন্দ খুঁজে পেতাম না। হঠাৎ ঈদের সেই আনন্দ অনুভূতি কমে গেল। পরবর্তীতে যখন সংগঠনে যুক্ত হলাম তখন ঈদ ছিল ভিন্ন রকম। ব্যক্তিজীবন আর সংগঠন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেল। রাজনৈতিক পরিম-লেই কাটত ঈদের দিন। এখন ঈদের সময় নিজের নির্বাচনী এলাকায় থাকি। এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। তবে এ বছর ঈদের দিন নুসরাতের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাদের সঙ্গেই ঈদের দিন কাটাব। আমি সাধারণত আমার এলাকার দুঃখ-পীড়িত কিংবা বিপদগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে ঈদের দিন কাটাই। এর আগের বছরও তাই করেছিলাম। ঈদের দিন নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করব, তাদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করব। আমার এলাকার মানুষই আমার পরিবার। তাই তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব।

♦   সংসদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক, জাসদ

 

সবার প্রতি জানাই ঈদ মোবারক

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

ছোটবেলার ঈদ ছিল নির্মল আনন্দের। ঈদ আসার বহু আগে থেকে মনে নানা রকম স্বপ্ন দেখে অপেক্ষা করতাম। সে দিনটাকে মনে মনে সাজিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দে দিনটা অতিবাহিত হতো। আরেকটু বড় হওয়ার পর যখন সমাজ সচেতন হতে শুরু করলাম, তখন তা সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ঈদের জামাতে ধনী-দরিদ্রের সবার ‘হাত মিলাও হাতে’ বা ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ শামিল হতাম। সেই ঈদের জামাতে নামাজ শেষে কোলাকুলির ভিতর দিয়ে যে আপন হতো,

আরও পরে যখন রাজনীতির সক্রিয় কর্মী হয়ে উঠলাম, তখন এসব অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। পরাধীনতার গ্লানিজনিত দুঃখবোধ, ক্ষোভ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই মানবতার ভ্রাতৃত্ববোধের ধারায় ঈদকে ফিরে পাওয়া যায়নি। এখন কেবল সামাজিক ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের বিভাজনই শুধু নয়, এ রকম দুজনের ভিতরে গলা জড়িয়ে কোলাকুলির রেওয়াজও আজকাল ঈদের জামাতে তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। ঈদের সাম্যের চরিত্রটাও এখন সংকীর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ভিত্তিক হয়ে পড়েছে প্রায়। তবু এসবের মাঝেও পাটকল শ্রমিকরা রাস্তায়, কৃষকরা পানির দামে ধান বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে।

♦    সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি

 

গ্রন্থনা : মাহমুদ আজহার, রফিকুল ইসলাম রনি, রুহুল আমিন রাসেল, শফিকুল ইসলাম সোহাগ ও জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

৫৬ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

দুর্গাপুরে ভারতীয় নাগরিক আটক
দুর্গাপুরে ভারতীয় নাগরিক আটক

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো সৌর শক্তি ইইউ’র বৃহত্তম একক শক্তির উৎসে পরিণত
প্রথমবারের মতো সৌর শক্তি ইইউ’র বৃহত্তম একক শক্তির উৎসে পরিণত

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিন বাড়তে পারে দেশের তাপমাত্রা
দুই দিন বাড়তে পারে দেশের তাপমাত্রা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কালভার্টের পাশে পড়ে থাকা নবজাতকের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে কালভার্টের পাশে পড়ে থাকা নবজাতকের লাশ উদ্ধার

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল
গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
মেহেরপুরে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জেমিনিতে ছবি দিলেই তৈরি হবে ভিডিও
জেমিনিতে ছবি দিলেই তৈরি হবে ভিডিও

৩৪ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে
ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা
ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রাবিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত
রাবিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিপ্লবত্তোর বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের অঙ্গীকার মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদের
বিপ্লবত্তোর বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের অঙ্গীকার মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৪১৮ জন গ্রেফতার
পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৪১৮ জন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা
টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫
থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সীমান্তে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু
নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৬ মাসে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা, বন্ধ ৬৯৯ ইটভাটা
৬ মাসে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা, বন্ধ ৬৯৯ ইটভাটা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ
পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’
নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ
জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করবেন যেভাবে
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করবেন যেভাবে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

২১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা