বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙাগড়ার খেলায় যারা আজও উদাহরণ

ভাঙাগড়ার খেলায় যারা আজও উদাহরণ

শোবিজ জগৎ শুধু নয়, সাধারণ মানুষের দাম্পত্য জীবনও প্রায় সময় তাসের ঘর হয়ে যায়। তবে তারকাদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি বলে তাদের প্রেম, বিয়ে, সংসার সব সময় সবার নজরে আসে। তারকাদের বিয়ে প্রায়শ না টিকলেও এর বিপরীত চিত্রও আছে। অনেকে প্রেম করে বিয়ে করলেও এখন পর্যন্ত সুখী দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ হয়ে আছে। এমন অনেক বিচ্ছেদের ভিড়ে দাম্পত্য জীবনে যারা সুখী তাদের কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

ফেরদৌসী মজুমদার-রামেন্দু মজুমদার

রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। ১৯৬১ সালে একই সঙ্গে ভর্তি হন দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই তাদের দেখা-সাক্ষাৎ, তারপর প্রেম। ১৯৬৫ সালে প্রেম ১৯৭০ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে এখনো তারা সুখী দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ হয়ে আছেন।

হাসান ইমাম-লায়লা হাসান

সৈয়দ হাসান ইমাম ও লায়লা হাসান। দেশের এ দুই গুণী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। সফল ও আদর্শ দম্পতিদের তালিকায় ঘুরেফিরে প্রথম সারিতে আসে এই দম্পতির নাম। সদা হাসিখুশি এই তারকা দম্পতি শুধু সফল জুটিই নন, সফল বাবা-মাও। এক ছেলে ও দুই মেয়ের সফল পিতা-মাতা তারা।

ইনামুল হক-লাকী ইনাম

লাকী ইনাম ১৯৭২ সালে ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ দলে যোগ দেন। একই দলে কাজ করতেন ইনামুল হক। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়, পরবর্তী সময়ে ঘনিষ্ঠতা। এ দম্পতি তাদের বিবাহিত জীবনের প্রায় তিন যুগের বেশি সময় পার করেছেন।

ফারুকী-তিশা

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সফল চলচ্চিত্র ও নাট্য নির্মাতা আর নুসরাত ইমরোজ তিশা জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ফারুকীর চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। ২০১০ সালে ভালোবেসে তারা বিয়ে করেন। এখন পর্যন্ত সুখী দম্পতি হিসেবে সুখের প্রতীক হয়ে আছেন তারা।

বিপাশা-তৌকীর

তৌকীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিপাশা হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের প্রথম পরিচয় হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। দুজন একসঙ্গে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯২ সালে সোনালী রোদ্দুর নামের একটি নাটকে। এরপর ভালোবাসার শুরু। ১৯৯৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসার আলো করে এসেছে আদরের দুই সন্তান।

জাহিদ হাসান-মৌ

অভিনেতা জাহিদ হাসান এবং অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। দুজনের প্রথম পরিচয় হয়েছিল হানিফ সংকেতের ইত্যাদি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে। সেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব; অতঃপর প্রেম। ১৯৯৭ সালে তারা ভালোবাসার ঘর বেঁধেছেন। দাম্পত্য জীবনে সুখী বাবা-মা। পুষ্পিতা ও পূর্ণকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।

শাবনাজ-নাঈম

চাঁদনী ছবির মাধ্যমে নাঈম-শাবনাজ জুটির অভিষেক হয়। স্ক্রিনের মতো নাঈম-শাবনাজ বাস্তব জীবনেও সফল। অভিনয় করতে গিয়ে প্রেম। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে রয়েছে দুটি কন্যাসন্তান। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তারাও সুখের উদাহরণ।

আজিজুল হাকিম-জিনাত

আজিজুল হাকিম জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা। একসময় নাটকের মহড়া করতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। মহড়ার ফাঁকে ফাঁকে তাকে প্রায়ই দেখা যেত রোকেয়া হলের গেটে। কারণ এই হলেই থাকতেন জিনাত। তার প্রেমে পড়েন আজিজ। ভালোবাসা আর বিয়েতে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় কেটে যায় তাদের। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।

রোজী-সেলিম

১৯৯৩ সালের বিজয় দিবসে রোজী-সেলিম দম্পতির যুগল জীবনের শুরু। বিয়ের বছর থেকেই রোজী সিদ্দিকী ঢাকা থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। তারও এক দশক আগে থেকেই শহীদুজ্জামান সেলিম এই নাট্যদলের কর্মী ছিলেন।  সফল সংসার জীবনে তাদের ঘর আলো করে এসেছে দুই মেয়ে।

অনন্ত-বর্ষা

২০১০ সালে দেশীয় চলচ্চিত্রে আসেন অনন্ত ও বর্ষা। প্রথম ছবি ‘খোঁজ দ্য সার্চ’। এরপর একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এখন পর্যন্ত সুখী দম্পতি ও সফল পর্দা জুটি হিসেবে  কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

সর্বশেষ খবর