টিভি অনুষ্ঠান বিভাগ, অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, ওটিটি ও ইউটিউবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার জন্য তাঁরা অনেক আগে থেকেই নির্মাণের প্রস্তুতিতে। নাগরিক টিভির ঈদ প্রস্তুতিতে ঈদের সাত দিনে সাতটি একক নাটক প্রচার করবে। এ ছাড়াও প্রচার করবে দুটি ধারাবাহিক নাটক। ঈদে সিএমভির ব্যানারে তারকাবহুল ১৭টি নাটক প্রচারে আসবে। যেখানে থাকছেন এই সময়ের সেরা নাট্যকার, নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীদের অংশগ্রহণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও আফরান নিশো। বাংলাভিশন এবার ৩৫টির মতো একক নাটক, পাঁচটি সাত পর্বের ধারাবাহিক ও সাতটি টেলিফিল্ম নির্মিত ঈদ আয়োজনে রেখেছে। কিছু নির্মিত হয়েছে, কিছুর নির্মাণ চলছে। সালাউদ্দিন লাভলু, মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের সবাই রয়েছেন এসব কাজে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৈশাখী টিভিতে নতুন ১৯ নাটক প্রচার হবে। নয়টি নাটক লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। এর মধ্যে ১৪টি একক এবং পাঁচটি সাত পর্বের ধারাবাহিক। প্রতিদিন রাত ৮টা ১০ মিনিট ও ১১টা ৫ মিনিটে দুটি করে একক নাটক প্রচার হবে। দীপ্ত টিভির সাত দিনব্যাপী ঈদুল আজহা আয়োজনে থাকছে দুটি টেলিফিল্ম, একটি ফিচার ফিল্ম, তিনটি সাত পর্বের ধারাবাহিক, ১০টি একক নাটক ও আটটি শর্টফিল্ম। গত ঈদুল ফিতরে বাংলাসাহিত্যের বাছাইকৃত কিছু গল্প নিয়ে বঙ্গবিডির প্রযোজনায় নির্মিত হয় ‘বঙ্গ বব’। বঙ্গ পাঁচ দিনের ঈদ আয়োজনে আরও রয়েছে নাটক ‘নো ফ্লাই জোন’ (খায়রুল বাশার, তানিয়া বৃষ্টি, সাইরা জাহান), ‘একটি গল্প’ (মনোজ প্রামাণিক, কেয়া পায়েল, সুজন হাবিব), ‘এতটুকুই চেয়েছিলাম’ (সজল, নাদিয়া মিম), ওয়েব সিরিজ ‘সোচ’ এবং মুভি ‘জিরো ডার্ক থার্টি’। এনটিভি নিজস্ব প্রযোজনায় মোট ২১টি নাটক নির্মাণ করবে বলে জানা যায়। আর আরটিভির মোট ৪৪টি একক নাটক (সম্ভাব্য) ও একটি ধারাবাহিক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। দেশ টিভি সাতটি দিনের ঈদ আয়োজনে প্রচার হবে সাতটি বিশেষ নাটক। নাটক প্রযোজনায় আরও রয়েছে মাছরাঙা, দুরন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল আই, একুশে টিভি, এটিএন বাংলা প্রভৃতি। এদিকে দেশের পরিস্থিতি খারাপ, তাই যাঁরা শুরু করেছেন তাঁরা তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছে নাট্য সংগঠনগুলো। বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত নাটকের অন্তসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়। তাগাদা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার।