দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম উপহার দিয়েছেন। অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও এখনো মিডিয়ায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একেবারেই নেই...
যান্ত্রিক জীবন, প্রতিযোগিতা, দৌড়- এসব আমার পছন্দ নয়। যে কারণে আমি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করি না।
অভিনয়ে নিয়মিত নন কেন?
শিল্পী হিসেবে গল্পের জায়গায় চাওয়া-পাওয়ার প্রত্যাশার মিল থাকে না। বিষয়টা তো প্রযোজক ও পরিচালকের ওপর। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি, একটু বেছে বেছে কাজ করছি। যেহেতু দীর্ঘ সময় কাজ করেছি, আমার মনে হয় এ সময়ে এসে একটু বেশি বেছে কাজ করা দরকার। নাটক, ওটিটি বা যে কোনো ক্ষেত্রেই এ কাজটা করতে চাই। এখন একটু অপেক্ষা করছি ভালো কোনো কাজের জন্য।
শুটিং নাকি সংসার-সন্তান কোনটা নিয়ে ব্যস্ততা বেশি?
শুটিং কম করছি। বাসায় বাচ্চাকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি। তবে কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে।
ওটিটির কাজের খবর...
এর আগে ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ করেছি। আর রায়হান রাফী ও আবদুল্লাহ মোহম্মদ সাদের ওটিটির কাজও করেছি। আরও কিছু কথা হচ্ছে। কোনটা এখনো ফাইনাল হয়নি। সবকিছু চূড়ান্ত হলে দর্শক অবশ্যই জানতে পারবেন।
সহশিল্পী হিসেবে কে সবচেয়ে পছন্দের?
আমি সবার সঙ্গেই কাজ করে আরাম পেয়েছি। আমি যেসব কো-আর্টিস্টের সঙ্গে কাজ করেছি সবাই খুব গুণী মানুষ। সহশিল্পী হিসেবে সবাই অনেক সহযোগিতাপরায়ণ ছিলেন।
মিডিয়ায় যে কাজগুলো হচ্ছে তা নিয়ে আপনি কতখানি সন্তুষ্ট?
সব ক্ষেত্রে যে একঘেয়েমি কাজ হচ্ছে সেটা আমি বলব না। এটা ভ্যারি করে। যুগের সঙ্গে তো সবকিছুই পাল্টে যায়। সেরকম কাজের ধারাটাও পাল্টে যাচ্ছে।
মডেলিং-নাটকে তো অনেক কাজ করলেন। পূর্ণাঙ্গ সিনেমায় দেখা যাবে কবে?
সেটা আমি এখনো জানি না। সময়ই বলে দেবে কখন কী করতে হবে।
নিজেকে নিয়ে বিশ্লেষণ কী?
নিজেকে নিজে বিশ্লেষণ দেওয়াটা খুবই কঠিন; কিন্তু আমি বলব, চেষ্টা করি যতটুক সম্ভব ভালো মানুষ হওয়ার, ভালো থাকার। এতটুকুই।
সারিকা কি অলরাউন্ডার?
এটা তো আমি নিজে বলতে পারব না। সেটা আমার থেকে বেশি দর্শকরা বলতে পারবেন।