দেশ না সিংহাসন, কোনটা বেশি জরুরি? ‘এমার্জেন্সি’র ট্রেলারে সেই প্রশ্ন তুলেই ঝাঁজাল কঙ্গনা রানাউত। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে সত্তরের দশকে গোটা ভারত যে জরুরি অবস্থার সাক্ষী হয়েছিল, সেই ঝলক তুলেই ট্রেলার প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী সংসদ সদস্য।
ভারতের গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর যেভাবে রোধ করা হয়েছিল, সেই ঘটনা তুলে ধরেই ‘এমার্জেন্সি’ পর্বকে ‘গণতন্ত্রের কালো অধ্যায়’ বলে সম্বোধন করলেন কঙ্গনা। ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, সামান্য মেকআপ, প্রস্থেথটিক লুকে ট্রেলারে একেবারে চমকে দিয়েছেন অভিনেত্রী। আড়াই মিনিটের ট্রেলারে তরুণী ইন্দিরার দাপুটে উত্থান। ‘জননেত্রী’ হওয়ার গোড়ার দিকে বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্বের ঝলকও দেখা গেল। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন জুড়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে সেসব ঘটনার রাশ একা হাতে রেখেছিলেন, ট্রেলারে সেই ঝলকও দেখা গেল। অটল বিহারি বাজপেয়ির ভূমিকায় দেখা গেছে শ্রেয়স তলপড়েকে। স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমান, জয়প্রকাশ নারায়ণ হিসেবে দেখা গেছে অনুপম খেরকে। প্রয়াত অভিনেতা উপপ্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামের ভূমিকায় দেখা গেছে সতীশ কৌশিক। ‘এমার্জেন্সি’ পরিচালনার ভার রেখেছিলেন কঙ্গনা। ‘এমার্জেন্সি’তে তুলে ধরলেন ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি পর্বকে।