চাকরি ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য অভিযোগে দুই চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলেন- ফ্যান গোউয়ে ও ইয়াং জিকু। গত সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এপিবিএন বলছে, চাঁদপুরের সুবর্ণা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রথমে এপিবিএনের নজরে আসে। সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএন অফিসে সুবর্ণা জানান, ফ্যান গোউয়ে একজন চীনা নাগরিক এবং তাকে চীনে পাচারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে সে চীনে যাওয়ার উদ্দেশে এয়ারপোর্টে অবস্থান করছে। অভিযোগকারীর তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত এসপি অনিতা রানী সূত্রধর তার সহযোগী ফোর্সসহ বোর্ডিং লাউঞ্জ-৫ এ অভিযুক্ত চীনা নাগরিককে আটক করেন। পরে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুজনকেই এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিকুঞ্জের একটি বাড়িতে আরও দেশি-বিদেশি পাচারকারী ও নারী ভুক্তভোগী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডির টিএইচবি সেল, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন নিকুঞ্জের সেই বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা ইয়াং জিকু নাকে আরেকজন চীনা পাচারকারীকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়।
এপিবিএন আরও বলছে, দুই বছর আগে টিপু এবং জিহাদ নামে দুজনের সঙ্গে ভুক্তভোগীর ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হতো। কথাবার্তার একপর্যায়ে জিহাদ তাকে চাইনিজ কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি হলে টিপু এবং জিহাদ গত ২৬ অক্টোবর ভুক্তভোগীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তারা ভুক্তভোগীকে ঢাকায় খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-১ এর একটি বাড়িতে নূরুর কাছে নিয়ে আসে। ইয়াং হও নামে একজন চীনা নাগরিকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের নাটক সাজায় নূরু। ওইদিনই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই বাড়িতে আরও ৭-৮ জন চীনা নাগরিক ও আরও নারীকে দেখেছেন বলে ভুক্তভোগী জানান। এর মধ্যে পাচারকারীচক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীর পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র প্রস্তুত করে এবং ভুক্তভোগীকে নিকুঞ্জের বাসায় আটকে রাখে। গত সপ্তাহে ভুক্তভোগীর কথিত স্বামী ‘ইয়াং হও’ চীনে চলে যায়। পরে পাচারকারীচক্রের সদস্য ফ্যান গুয়াই পাচার করার জন্য গত সোমবার ভুক্তভোগীকে বাসা থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। বিমানবন্দরে এনে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সেটিংস-এর ভাষা চাইনিজ ভাষায় রূপান্তর করে ফেরত দেয়। সুযোগ বুঝে ওই নারী এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে সাহায্য চাইলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। গতকাল ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিও অ্যাডিশনাল ডিআইজি শিহাব কায়সার খান জানান, বেশ কিছু দেশের মানব পাচারকারী চক্র স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় নারী পাচারের চেষ্টা করছে। তথ্য পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করি।
শিরোনাম
- সুশাসন চাইলে সৎ ও যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- ১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
- সিলেট সীমান্তে বিএসএফ’র অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের প্রতিরোধ
- মহাসড়কে বাইক প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল তরুণের
- পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- সাতক্ষীরায় পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দুই মাসের কারাদণ্ড
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- রূপগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
- রং মেশানো ডাল আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- গাজীপুরে রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- সিলেটের শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- খিলগাঁওয়ে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার
- শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি
- সাংবাদিকদের চুপ করালে সবার কণ্ঠ থেমে যায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
- বিয়ের দিন ঠিক করতে গিয়ে নিহত সেই রুপলালের মেয়ের বিয়ে
- খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৩১ দফার প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ
- বগুড়ায় ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত ১
- সিরাজগঞ্জে ৮ হাজারেরও বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা
নারী পাচারে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর