স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কমিশনের অন্য দুজন সদস্য হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়া আলী আকবর আজিজি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৫(১) ধারার বিধানমতে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলো। তাঁর বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের হবে। এ হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৫(১) ধারার বিধানমতে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলো। তাঁর বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের হবে। এ ছাড়া কমিশনারদের বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের সমরূপ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গতকালই ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের একজন সদস্য। ১৯৮২ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বগুড়ায় যোগদান করেন। পরে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। যুগ্মসচিব থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালে মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ পান। পরে জ্যেষ্ঠ সচিবের পদমর্যাদা পান।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং দুই কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন। এর পর থেকে দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদ খালি ছিল।