নব্বই দশক থেকে এ সময়েও সবার প্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। যার নামটাই একটা ব্র্যান্ড। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এক সময় মঞ্চেও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক নির্মাণেও সপ্রতিভ। এ জনপ্রিয় অভিনেতার সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
কেমন আছেন? কোথায় আছেন?
জি, ভালো আছি। আর পরিবারসহ ঢাকার বাসায় আছি।
কাজ কমিয়ে দিয়েছেন কেন?
আসলে ভালো গল্প ও চরিত্র না পেলে কাজ করতে চাই না। ইচ্ছা হয় না গৎবাঁধা গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে। তাই মনের মতো হলে কাজ করি।
দীর্ঘদিন পর আপনার নতুন একটি ধারাবাহিক প্রচারে এসেছে...
হুমম... ‘ভাল্লাগে না’। এটি জাকির হোসেন উজ্জ্বলের লেখা আর পরিচালনা করেছেন হানিফ খান। বৈশাখী টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে। নাটকটির গল্প সুন্দর। বিয়ে ও বিয়ে ভয়ভীতি নিয়ে গল্প। বিনোদনের পাশাপাশি কিছু সামাজিক বক্তব্যও রয়েছে এটিতে। সবার ভালো লাগবে।
মাঝে ওটিটির দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলেন...
আসলে বেশ যত্ন ও আন্তরিকতা নিয়ে ওটিটির কাজগুলো হয়। সময় নিয়ে এসব কাজ করার ফলে মানের ক্ষেত্রেও খুব একটা আপস করে না পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তাই ওটিটি মাধ্যমে কাজ করে এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যায়। এখন তো টিভি নাটক কম করছি। পরিবেশটাও আমার চাওয়ার মতো নেই। তাই ওটিটিতে নিয়মিত থাকার চেষ্টা করব।
ওয়েব সিরিজে যুক্ত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন, সেগুলোর অগ্রগতি কেমন?
রাফির একটি কাজ শেষ হয়েছে। আর অন্য কাজগুলো নিয়ে পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।
আর সিনেমা...
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ তো সনি লিভ-এ মুক্তি পেয়েছে, তবে এদেশের প্রেক্ষাগৃহে পায়নি। আর গল্প ও চরিত্র ভালো হলে করতে তো সমস্যা নেই।
জেনেছি একটা সময় কেটেছিল ধানমন্ডির ১৫ নম্বরের একটি মেসে, একটু বলবেন কি?
আমি পরিবারের ছোট ছেলে। তাই আলাদা একটা নজর সবারই ছিল। ছোটবেলায় এই দিনে মা পায়েস সহ সুন্দর সব খাবার রান্না করতেন। কেক আনা হতো, চানাচুর, কলা আরও কত কি! ঢাকা শহরে আসার পর শুরু হয় মেস ও হলজীবন। আমরা একটা ঘরে চার-পাঁচজন থাকতাম। বুয়া রান্না করতেন। প্রায় সময়ই খাবার মুখে তোলা যেত না। পরে নিজেরা ভাজিটাজি রান্না করে খেয়ে নিতাম। তবে কষ্টের মধ্যেও এক ধরনের শান্তি আছে, আবার কষ্টের মধ্যে অশান্তিও আছে। জীবনে কোনোকিছুই সহজে পাওয়া যায় না। তাই কষ্টের পরের সুখটা আসলে অন্যরকম। অনেক সময় ছাড় দিতে শিখিয়েছে। শেয়ারিং শিখিয়েছে।
জীবনটাকে কীভাবে দেখেন?
জীবনটা আসলে আয়নার মতো। আয়নায় আমি ভেংচি কাটলে আয়নাও ভেংচি কাটবে। হাসলে আয়নাও হাসবে। অনেক সময় আসলে জীবনটা কাঁঠালের মতো, কোনোকিছুই ফেলনা নয়। এ জীবনে দুঃখ- কষ্ট, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, অবহেলা, তাচ্ছিল্য-সবই পেয়েছি। সবাই পায়, কমবেশি। সঠিকভাবে সামলে নিতে পারলেই হয়। হতাশ হয়েছি, আবার কাটিয়ে উঠেছি। তাচ্ছিল্য যেমন অনেক পেয়েছি, লড়াইও করেছি। এ তাচ্ছিল্য বা অবহেলার সময় কেউ না কেউ সঙ্গী হয়ে আসে। হয় মানুষ, না হয় বই কিংবা গান।