পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা ও মডেল বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর থেকে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। মিম নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনয় করতে গিয়ে উচ্চতা নিয়ে এই তারকার বেশ কিছু বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যেগুলোকে বলা যায় অমøমধুর স্মৃতি। অভিনয়ে পরিচিতি পাওয়ার পর কোথাও গেলে মিমের আসন থাকে সবার সামনে। ইচ্ছা করলেও পেছনে গিয়ে বসতে পারেন না। কিন্তু স্কুলের দিনগুলো সামনে বসতে ইচ্ছা করলেও সেটা সম্ভব ছিল না। এর কারণ ছিল তাঁর উচ্চতা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘ছোট থেকেই আমি অনেক লম্বা। যে কারণে বন্ধুমহলে যে কোনো কিছুতে আমাকে সবার শেষে থাকতে হতো। চাইলেও কখনো সামনের সারিতে বসতে পারতাম না। বসলেও শুনতে হতো মাথা নিচু কর, দেখা যায় না। স্কুলে লাইন ধরে যখন পিটি করতাম, তখনো শেষে। এখনো বন্ধুরা আমার যত গ্রুপ ছবি পাঠায়, সেখানে আমি শেষে।
যে স্কুল ও কলেজে পড়েছি, আমি ছিলাম উচ্চতায় সবার বড়।’ একসময় স্কুল-কলেজে সহপাঠী ও শিক্ষকদের কাছে মিমের পরিচয় হয়ে যায়-
‘ওই লম্বা মেয়ে’ হিসেবে। নামের চেয়ে তাকে এই নামেই বেশি ডাকা হতো।
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘যখন সবাই একসঙ্গে কোনো কিছু শিখতে যেতাম, তখন উচ্চতার কারণে আমার অবস্থান থাকত পেছনে। বোঝেনই তো যাঁদের মনোযোগ কম, তারা পেছনে অংশ নিত। আড্ডা ও কথা হতো। এর মধ্যে আমাকে মনোযোগী হয়ে সামনে তাকিয়ে থাকতে হতো। এভাবে একবার গান শিখতে গেলাম, সেখানেও আমার অবস্থান পেছনে। আরেকটা মজার কথা বলিনি। আমার সবচেয়ে কাছের যে বন্ধু ছিল, তার সঙ্গে আমার উচ্চতার ব্যবধান ছিল অনেক। আমরা যেখানেই যেতাম, সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকত। এ নিয়ে বিব্রত হতে হতো। অনেকে আমাদের খ্যাপানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু বন্ধুত্ব কি আর এগুলো মানে।’ এই চিত্রনায়িকা জানান, তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি।