আজ ১ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন। একে একে ১৫টি বছর পেরিয়ে ১৬-তে পা দিল বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল চ্যানেল, চ্যানেল আই। এই ১৫ বছরে টেলিভিশন কিংবা গণমাধ্যম নিয়ে মানুষের তৃষ্ণা ও প্রত্যাশাগুলো পূরণ করে এগিয়ে চলেছে চ্যানেল আই। সংস্কৃতির সব শাখায় চ্যানেল আইয়ের উদ্ভাবনী পথচলা। সবাই বিশ্বাস করে চ্যানেল আই গণমানুষের স্বপ্ন পূরণের চ্যানেল, চ্যানেল আইর পর্দাতেই আবিষ্কার করা যায় বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রের প্রকৃত চিত্র। চ্যানেল আই মানে হৃদয়ে গভীরভাবে বাংলাদেশকে ধারণ করা একটি গণমাধ্যম অভিযান, চ্যানেল আই মানে কোটি কোটি বাঙালির চোখ। চ্যানেল আই বিশ্বাস করে 'লাল সবুজ আমাদের শক্তি'। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও আকাশ সংস্কৃতির নতুন নতুন অগ্রযাত্রার ভেতর চ্যানেল আইয়ের ১৫টি বছর কেটেছে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। পশ্চিমা আর ভারতীয় গণমাধ্যমের নেতিবাচক চর্চা থেকে দর্শকদের দেশমুখী করতে চ্যানেল আইয়ের উদ্যোগের শেষ নেই। প্রথম দিন যে নতুনত্বের মালা গেঁথেছিল, আজও তা গেঁথে চলেছে চ্যানেল আই। পথচলার শুরু থেকে চ্যানেল আই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সব গুণী মানুষকে যুক্ত করেছে তার পথচলার বিশাল কাফেলায়। দিনে দিনে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এর দর্শক। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের কোটি কোটি বাংলা ভাষাভাষী দিনে দিনে যুক্ত হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের লাল-সবুজ রঙে। যুক্ত হয়েছেন হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায়। বাংলাদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস তখন ৩৪ বছরের, ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আইয়ের।
রাত ১২:০১ মিনিটে নিজস্ব ভবনে কেক কেটে উদযাপন করা হয় চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনের প্রথম প্রহর। জন্মদিন উপলক্ষে আজ সারা দিন চ্যানেল আই ভবনে রয়েছে শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ীদের মিলনমেলা। সকালে র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হবে জন্মদিনের কার্যক্রম। সারা দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টায় কেককাটা ও উৎসবের বর্ণিল আতশবাজিতে শেষ হবে জন্মদিনের নানা কার্যক্রম। পর্দায় থাকবে নানা আয়োজন। চ্যানেল আইয়ের ১৫ বছরের পথচলার শুভলগ্নে সব বিজ্ঞাপনদাতা, ক্যাবল অপারেটর, চ্যানেল আইয়ের দর্শক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্য, সুশীল সমাজ, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শিক্ষাবিদ, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান, কৃষক পরিবার, সব শ্রেণি-পেশার সদস্যসহ বিশ্বে বসবাসকারী প্রবাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছে চ্যানেল আই পরিবার।
ফরিদুর রেজা সাগর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
বাংলাদেশকে বুকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গত ১৫ বছরে চ্যানেল আইয়ের যে অর্জন, তা অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। ফেলে আসা ১৫ বছর ছিল দর্শকদের কাছে খুব বেশি দায়বদ্ধতার। গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার। পৃথিবীর ছয় মহাদেশে এখন চ্যানেল আই। বাংলাদেশের হৃদয় হতে চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এই অনুুষ্ঠানগুলোতে রয়েছে দেশের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও দেশপ্রেম।
চ্যানেল আই পরিবার আজ বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবার। ১৬ বছরে এসেও চ্যানেল আই বিশ্বময় বাঙালির আস্থার একটি পরিবার। দর্শকদের চোখের সামনেই চ্যানেল আইয়ের আগামী দিনের পথচলা। এই পথচলায় দর্শকদের মমতাভরা দৃষ্টির সামনে আমরা যেন উপস্থাপন করতে পারি আরও নতুন নতুন সৃষ্টি। আর সেই সৃষ্টিতে শুধু হৃদয়ে বাংলাদেশ নয়, চেতনার সবটুকু যেন থাকে প্রিয় দেশকে গর্বের সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার। আগামীতেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শাইখ সিরাজ
বার্তা প্রধান ও পরিচালক
শুরু থেকেই চ্যানেল আই তারুণ্যকে লালন করেছে। তারুণ্য আমাদের মুুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, তারুণ্য আমাদের চেতনার গভীরে থাকা শক্তির আধার। সংস্কৃতি, বিনোদন বা তথ্য সবকিছুকেই প্রতিনিধিত্ব করে তারুণ্য। এই তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করে আমরা পার করেছি দেড় দশক বা ১৫টি বছর। আবার অন্যভাবে বলতে গেলে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর সে আজ পদার্পণ করছে ১৬ বছর বয়সে। একটি টেলিভিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের জানাশোনার হিসাব কষতে গেলে বলতে হবে, অভিজ্ঞতার এক তারুণ্যে পৌঁছেছি আমরা। চ্যানেল আই দেশের আপামর মানুষের প্রত্যাশা আর আকাঙ্ক্ষার সম্মিলন ঘটিয়ে এখন তারুণ্যের দীপ্তি ছড়াচ্ছে। এ কারণেই আমরা এখন 'তারুণ্যের ষোল'।
ভবিষ্যতে তরুণদের নিয়ে বেশি বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের। বিচ্ছিন্নভাবে তরুণরা অনেক কিছুই করছে। তাদের একটি প্ল্যাটফরমে আনা গেলে সেখান থেকে আসতে পারে বিশাল প্রাপ্তি।