নতুন গানের কী খবর?
আমি তো সব সময় গান করি না। আমার যদি মনে হয়, এখন দেশকে নিয়ে একটি গান করা দরকার বা দেশের মানুষের কোনো সমস্যা নিয়ে গান করা দরকার তখন আমি গান করি। সম্প্রতি তিনটি নতুন গান আছে আমার কাছে। তার মধ্যে ঘুষ নিয়ে একটি গানের কাজ শেষ করেছি। এটির মিউজিক ভিডিও হয়েছে। গানটি দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে নিয়েছে। গানটি এরই মধ্যে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়ার কথা আছে। এছাড়া তরুণ ছেলেমেয়েদের ডিপ্রেশন নিয়ে একটি গান করেছি। আমার কাছে মনে হয় ১৮-২০ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এক ধরনের ডিপ্রেশন কাজ করে। তাদের নিয়ে এই গান। আর অন্য গানটি হচ্ছে একদিন আমাদের এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। এমন একটি জীবনবোধ থেকে একটি গান করেছি।
গানগুলোর কাজ কি শেষ
সবকিছু ঠিক করে রেখেছি কিন্তু রেকর্ডিং শেষ হয়নি। আর এখন গান করে কি লাভ। এত কষ্ট করে একটি গান করে কি অডিও কোম্পানিগুলোকে ফ্রি ফ্রি দিয়ে দেব। তাই নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। কারও যদি দরকার পড়ে তবেই দিব।
অনলাইনে গান প্রকাশের বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
অনলাইনে গান প্রকাশের ভালো দিক হচ্ছে, মানুষ অন্তত গানগুলো শুনতে পায়। আর অন্যদিকে আমি মনে করি, প্রতিটি শিল্পীর নিজের জন্য হলেও একটি সিডি থাকা দরকার। তা না হলে নিজের গান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাওয়ালি গানের কী খবর?
কাওয়ালি গান আসলে কোনো বিশেষ দিবস ছাড়া করা হয় না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, কাওয়ালি গানের জন্য যে ধরনের স্টুডিও দরকার, যে ধরনের শিল্পী দরকার, এখন আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন আমি ছোটবেলা থেকেই কাওয়ালি গানের সঙ্গে পরিচিত। পুরান ঢাকার সন্তান, তাই এ সংস্কৃতিতে আমার বেড়ে ওঠা। নিয়মিত কাওয়ালি গানের আসর বসত আমাদের বাসায়। তখন থেকেই কাওয়ালি ঘরানার সঙ্গে আমার একাত্দতা। এখন ঢাকায়ও তেমন কাওয়ালি গান হয় না।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে অনেক নতুন শিল্পী আমাদের গানের ভুবনে আসছে কিন্তু তারা টিকে থাকতে পারছে না কেন?
আমার কাছে মনে হয়, যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই গানের ভুবনে আসছে তাদের মধ্যে অনেকেরই রাতারাতি স্টার হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। ফলে তাদের মধ্যে গানের চর্চার পরিমাণ কমে যায় এবং কিছু দিনের মধ্যে তারা হারিয়ে যায়।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী বলে আপনি মনে করেন?
আমার মনে হয়, যেসব টিভি চ্যানেল এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে তাদের আরও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে। যেমন, প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসা শিল্পীদের দিয়ে শুধু গান করালে হবে না। তাদের দেশ ও দেশের বাইরে গানের ওপর পড়াশোনা করার জন্য পাঠাতে হবে। তাহলেই এ গানের ভুবনে তারা টিকে থাকবে।
আলী আফতাব