জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ 'জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৫' উদযাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ওই দিনই পাস হয়। ফলে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ৩ এপ্রিলকে 'জাতীয় চলচ্চিত্র' দিবস ঘোষণা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এফডিসির আয়োজনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় এফডিসিতে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর র্যালি বের হবে। চলচ্চিত্রশিল্পী ও কলাকুশলীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় এফডিসি ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের যৌথ আয়োজনে 'ডিজিটাল চলচ্চিত্র : সমস্যা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দিনব্যাপী প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গণযোগাযোগ অধিদফতরের আওতায় জেলা তথ্য অফিস জেলায় জেলায় র্যালি ও বিনামূল্যে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে।
'শিখণ্ডী কথা' নাটকের ১৫৫তম প্রদর্শনী
আজ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত নাটক 'শিখণ্ডী কথা'।
আনন জামান রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন ড. রশীদ হারুন।
যাকে নিয়ে এই নাট্যকাহিনী, যার সুখ-দুঃখ কথা ফুল হয়ে ফুটে উঠবে নটনটীদের অঙ্গে উপাঙ্গে শাখা প্রশাখায়, যার বেদনা গীত হবে আজ। সে এখন মায়ের গর্ভে বাঁকানো ত্বকের ছইয়ের নিচে ছোট্ট ভ্রূণ। এ ভ্রূণ জানে না কৈশোরে সে পরিবার থেকে বিতাড়িত হবে, যৌবনে তার কামনা-বাসনা পচবে-গলবে নিজের ভিতরে, এক ভয়ানক বেদনায় নিজেকেই নিজে খুন করার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠবে, জীবন যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে এ ভ্রূণ একদিন ঈশ্বরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এ ভ্রূণ সমাজের সভ্যজনদের সমবেত করে পরনের কাপড় টুকরা টুকরা করে ছিঁড়বে এই জনমে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী। অভিনয় করবেন মীর জাহিদ হাসান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. শাহনেওয়াজ, সৈয়দ ফেরদৌস ইকরাম, কামরুজ্জামান সবুজ, সৈয়দ লুৎফর রহমান প্রমুখ। নাটকের প্রতিটি প্রদর্শনী হিজড়াদের উৎসর্গ করে মঞ্চায়ন করে আসছে।
আজ 'সিরাজ যখন নবাব সিরাজদ্দৌলা'
আজ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে বাংলাদেশ থিয়েটার প্রযোজিত নাটক 'সিরাজ যখন নবাব সিরাজদ্দৌলা'। শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচনায় নাটকটির নবনাট্যরূপ ও নির্দেশনায় রয়েছেন আবদুল আজিজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন খন্দকার শাহ আলম, নবীয়া ইসলাম রিতা, মাসুদা খান, আবদুল আজিজ, ফাতেমা আক্তার সুমি প্রমুখ।
৭ এপ্রিল 'যেমন কর্ম তেমন ফল'
৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে মাইম আর্ট 'যেমন কর্ম তেমন ফল'। হাস্যরসের মধ্য দিয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হবে 'যেমন কর্ম তেমন ফল'র পরিবেশনায়।
নিথর মাহবুবের রচনা ও নির্দেশনায় কমেডিভিত্তিক এই মাইম প্রযোজনায় অভিনয় করবেন ফয়সাল, টুটুল, শুভ, শুধাংশু, অমরেশ, অপূর্ব, সবুজ, মুনিয়া প্রমুখ।
ছায়ানটে আজ শ্রোতার আসর
আজ সন্ধ্যায় ছায়ানটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে শ্রোতার আসর। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এই আসরে শুদ্ধসংগীত পরিবেশন করবেন সঞ্জীবন সান্যাল শুভ, শ্রাবন্তী ধর, টিংকু শীল ও রাকিমুন নাহার রীতি।
অলিয়ঁস ফ্রঁসেজে আজ মহিউদ্দিন আহমেদ মহিমের চিত্র প্রদর্শনী
আজ অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হচ্ছে শিল্পী মহিউদ্দিন আহমেদ মহিমের 'পরিপাশ্বর্ের প্রভাব-৪' শীর্ষক একক চিত্র প্রদর্শনী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আজ বিকালে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক পরিচালক সৈয়দ জাহাঙ্গীর।
এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. ইমদাদুল হক ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক সঙ্গীতা আহমেদ।
আগামী ১১ এপ্রিল শেষ হবে এই প্রদর্শনী।
৭ এপ্রিল সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মৃতি নাট্যোৎসব
আগামী ৭ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে পদাতিক নাট্য সংসদ আয়োজিত 'সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মৃতি নাট্যোৎসব ও স্মারক সম্মাননা-২০১৫'।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে উৎসবের নাটকগুলো।
প্রতিদিন দুটি করে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে মোট ১০টি নাটক মঞ্চায়ন হবে। উৎসবে বাংলাদেশের থিয়েটার, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, আরণ্যক, বটতলাসহ ভারতের অনীক ও রঙ্গকর্মী নাট্যদল অংশগ্রহণ করবে।
উৎসবের নাটকগুলো হলো থিয়েটারের 'কুহকজাল, আরণ্যকের 'ভঙ্গবঙ্গ', বটতলার ট্রায়াল অব মাল্লাম ইলিয়া' নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের 'নাম গোত্রহীন', আয়োজক নাট্যদল পদাতিক নাট্য সংসদের 'ম্যাকবেথ' ও 'জনমাংক', অনীক নাট্যদল [ভারত]-এর 'চিকিৎসা' ও '২১এর গল্প', রঙ্গকর্মী নাট্যদল [ভারত]-এর 'রোজানা' ও 'অন্তর যাত্রা'। আগামী ১১ এপ্রিল শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসব।
মঞ্চে আসছেন সম্রাট বাহাদুর শাহ
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সন্ধ্যা ৭টায় মহাবিদ্রোহ ও সম্রাট বাহাদুর শাহ মঞ্চায়ন হবে। নাটকটি ১৮৫৭ সালের ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। বিদেশি ইংরেজ শাসকদের উৎখাত করার জন্য ভারতের মাটিতে সেটাই ছিল জাতীয় পর্যায়ের বিদ্রোহ। এনফিল্ড রাইফেলের টোটাকে কেন্দ্র করে মহাবিদ্রোহের সূচনা। গরু ও শুয়ারের চর্বি মাখা কার্তুজের বিরুদ্ধেই মূলত সিপাহিরা বিদ্রোহ করেছিল। কিন্তু মহা বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল ভারতে কোম্পানির মাত্রাতিরিক্ত শোষণ এবং বিশ্বাস ঘাতকতা। দক্ষতাহীন নেতৃত্ব, নানা রকম অন্তঃকলহ, ব্যক্তিগত লোভ লালসা বিদ্রোহীদের সফলতা লাভের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান সময়ে মঞ্চায়নের যথার্থতা সম্পর্কে দল প্রধান আ মা ম হাসানুজ্জামান বলেন, বর্তমান সময়ে ও বিদেশি বানিয়ারা আমাদের দেশের জ্বালানি সম্পদ, সংস্কৃতি ইত্যাদি গ্রাস করতে চায়। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমরা নাটকটি মঞ্চায়নের উদ্যেগ নিই। নাটকটি যৌথভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার ও আ মা ম হাসানুজ্জামান।