গোয়ার কান্দোলিমে ফ্যাব ইন্ডিয়ার দোকানের ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরায় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কোমর থেকে ওপরের অংশ ধরা পড়েছিল। আর সে কথা উল্লেখ করেই এফআইআর করেন সাবেক এ অভিনেত্রী ও মন্ত্রী। ভারতের বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিজেপি দলীয় বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে সে রাতেই গ্রেফতার করা হয় ফ্যাব ইন্ডিয়ার ওই দোকানের চার কর্মীকে। দোকানের দায়িত্বে থাকা স্টোর ম্যানেজার অবশ্য আগাম জামিন নিয়ে নেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফ্যাব ইন্ডিয়ার ট্রায়াল রুম বিতর্কে ধৃত চার কর্মীকেই জামিন দিয়েছেন গোয়ার আদালত। শনিবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করার জন্য কোনো কারণ দেখাতে পারেনি গোয়া পুলিশ। তাই ওই চারজনকে জামিন দেওয়া হচ্ছে।
তবে আদালতে তদন্তকারী অফিসার দাবি করেন, ধৃত চার ব্যক্তি যে ওই ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছিলেন, তার প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে। ওই ফুটেজ বা ছবি ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মাধ্যমে অন্য কারো কাছে গিয়েছে কি না, তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। কিন্তু সে আর্জিও খারিজ করে দেন বিচারক।
জানা যায়, ফ্যাব ইন্ডিয়ার কোলহাপুরের এক দোকানেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ট্রায়াল রুমে এক নারীর পোশাক বদলের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলেছেন সংস্থার এক কর্মী। কর্মীটি গত ৩১ মার্চ এ ঘটনা ঘটায়। যখন ওই নারী পোশাক বদলাচ্ছিলেন, তখন ট্রায়াল রুমের দরজার নিচে যে ফাঁক থাকে, তাতে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ভিডিও রেকর্ডিং করছিল সে। ওই নারী তা দেখে চিৎকার করে উঠলে দ্রুত বেরিয়ে এসে মোবাইল থেকে ভিডিওটা মুছেও দেয়। কিন্তু পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই পুলিশ জানতে পারে মোবাইলে ছবি তোলার সত্যতা। ১ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ