সম্প্রতি মিরপুর থানায় দায়ের করা জিডি প্রসঙ্গে হ্যাপি বলেন, বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারছি না। সুন্দর এই পৃথিবীতে অন্য মানুষের মতোই আমিও সমাজে বেঁচে থাকতে চাই। বর্তমানে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সুনাম নষ্টসহ আমার দায়েরকৃত মামলাটিতে অহেতুকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে রুবেল হোসেন। আমি এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাই।
শিরোনাম
- জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটক নিখোঁজ
- রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপ শুরু ভারতের
- আবারও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, অনেকে হতাহত
- জেন-জি আন্দোলন : নেপালে নিহত বেড়ে ৩০
- রপ্তানিকারকদের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেবে এনবিআর
- যুক্তরাজ্যে সফররত ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
- বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা আব্বাস
- সাফারি পার্কে পেছন থেকে সিংহের আক্রমণ, পরিচর্যাকারী নিহত
- জাতিসংঘ পরিদর্শকদের পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশ প্রত্যাখ্যান ইরানের
- অস্থিরতার সুযোগে নেপালে জেল থেকে পালিয়েছে ১৩৫৭২ বন্দি
- বিসিএস পরীক্ষার নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউ’র সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বৃহস্পতিবার
- রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ প্রয়োগের আহ্বান পোল্যান্ডের
- ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত তরুণরা
- সিরাজগঞ্জে জাল টাকাসহ কারবারি আটক
- বগুড়ায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৭ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময়
- ৩৩ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার
- চালু হলো নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দর
যে স্কাইপে কথোপকথনের কারণে ফের হ্যাপির জিডি (অডিওসহ)
অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

রুবেল-হ্যাপির মামলা ইস্যুটি ইতোমধ্যে স্মৃতির পুরানো খাতায় জমা পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে হ্যাপি যে আবার জিডি করেছেন সেটাও সবার জানা। কিন্তু নতুন খবর হলো, যে আপত্তিকর ছবি ও স্কাইপে কথাবার্তার কারণে হ্যাপি ফের জিডি করলেন তা অনেকেরই অজানা।
গত ১৬ এপ্রিল মিরপুর থানায় নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে একটি জিডি (জিডি নম্বর: ১০৫৬) দায়ের করেন হ্যাপি। এর পরপরই আবারও আলোচনায় চলে আসেন আলোচিত এই অভিনেত্রী। কেউ কেউ এ ঘটনাকে হ্যাপির স্ট্যান্ডবাজি বলে আখ্যা দেওয়া শুরু করেন। সমালোচকরা বলতে শুরু করেন প্রচারণার জন্য আবারও পাগলামি শুরু করেছে হ্যাপি।
এ বিষয়ে হ্যাপি বলেন, আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন ফৌজদারি বিধান কোষের ১৭৩ ধারা মতে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেন। পরে আমার আইনজীবী তুহিন হাওলাদার ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে বাদী হিসেবে আদালতে না রাজি আবেদন দাখিল করার সিদ্ধান্ত নেই। এ খবর বিভিন্ন মিডিয়া ও লোকমুখে শুনে রুবেল ওই চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে না রাজি আবেদন আদালতে দাখিল করতে আমাকে নিষেধ করে।
এছাড়া আমাকে বিভিন্নভাবে একের পরে এক হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার পরে ফেসবুক ইনবক্সে আমার একটি আপত্তিকর ছবি রুবেল সেন্ড করে। এরপর স্কাইপের মাধ্যমে ফোন করে রুবেল হোসেন আমাকে ওই আপত্তিকর ছবির খবর জানায়। রুবেল আমাকে বলে— ‘একটা ছবি দেইখা পাগল হইয়েন না। আরো বহুত (অনেক) কিছু আছে, ঠিক আছে। ভয় পাইয়েন না। করমুনা (করব না) কিছু। আপনি যদি কিছু করেন তহন (তখন) কিন্তু খবর আছে। আমার (রুবেল) কোন ধরনের ইনটেনসি নাই আপনার এ ধরনের ফালতু জিনিস মার্কেটে ছাইড়া দিমু। কিন্তু আমার ক্যারিয়ার, আমার লাইফ, আমার ফ্যামিলি সব কিছু শেষ করে দেবা আমি তাহলে বাইচা (বেঁচে) থাকবো ক্যামনে। আপনি (হ্যাপি) শান্ত থাকেন। তাহলে আমি (রুবেল) আপনার যত ভিডিও আছে (অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি), পিক (পিকচার/ছবি) আছে এগুলো কোনো দিন কোথাও আপনি দেখবেন না।’
রুবেল আমাকে আরও বলে, ‘তবে কোন কিছু করার আগে চিন্তা কইরা কথা বইলেন, ঠিক আছে। হুট হাট মাথা গরম কইরা নিজের ক্ষতিটা ডাইকা নিয়া আইয়েন না। মানুষের কাছে অনেক শুনছি কিন্তু হ্যাপি। আপনাকে আমি বলতেছি মানুষের কথা শুইনা কোন কিছু কইরেন না। মান সম্মানটা আর নষ্ট কইরেন না। আপনার (অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি) সব পাঠাইয়া দেতাছি আপনারে। আপনি দেখেন আর ডিলিট করেন, ঠিক আছে।’
এছাড়া আপত্তিকর অনেক কথা বলে আমাকে হুমকি দিয়ে মিরপুর থানায় করা মামলার চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে না রাজি আবেদন দিতে নিষেধ করে। আমার কাছে রুবেল হোসেনের সেই হুমকির কথোপকথন রেকর্ড আছে।
স্কাইপে এবং ওইসব ছবিতে অন্তরঙ্গের কথা বলছেন, তাহলে কি স্বেচ্ছায় ছবিগুলো তোলা হয়েছিল— এ প্রসঙ্গে হ্যাপি বলেন, দেখুন ওই সময় আমি জানতাম না যে, রুবেল আমাকে বিয়ে করবে না। বলতে পারেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে বেশ কিছু ছবি তুলেছে। কিছু ছবি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এমনকি ঘুমানো অবস্থায়ও আমার ছবি তুলে রেখেছে সে। আর এখন সেগুলো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
অডিও শুনতে লিঙ্ক ক্লিক করুন : https://www.youtube.com/watch?v=hWC9KCTUeAY&app=desktop
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর