বাংলাদেশের নাটকের একটা গৌরবময় ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু দিনে দিনে সেটা দূর অতীত হয়ে যাচ্ছে। নাটকের এই ঔজ্জ্বল্য হারানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের আড়ালে চলে যাওয়াও একটা কারণ। কিন্তু সুখবর হচ্ছে, অনেকেই আড়াল থেকে সামনে আসছেন। যেমন শমী কায়সার। তিনি আবার অভিনয়ে আসছেন আস্তে-ধীরে। সম্প্রতি তিনি একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করবেন বলে চূড়ান্ত করেছেন। টেলিফিল্মটিতে তিনি জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন মাহফুজ আহমেদের বিপরীতে। দীর্ঘ ১০ বছর পর তারা আবার পর্দায় আসছেন। শমী-মাহফুজ জুটি হয়ে অভিনয় করবেন চয়নিকা চৌধুরীর টেলিফিল্ম 'অনুমতি প্রার্থনা'য়। এটি ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে। প্রচার হবে এনটিভিতে। টেলিফিল্মটিতে আরও অভিনয় করবেন আনিসুর রহমান মিলন, মিথিলা প্রমুখ। শুটিং হবে আগামী মাসে নেপালে। গল্পে দেখা যাবে, মাহফুজ-শমী স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রীকে তিনি প্রচণ্ড ভালোবাসেন। কিন্তু অন্য একটি মেয়ের প্রতিও তার মায়া আছে। এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়ন। জমে ওঠে গল্প।
'অনুমতি প্রার্থনা' পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। একটি বিদেশি গল্প অবলম্বনে কাহিনী গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, 'আমি দারুণ খুশি আমার সবচেয়ে পছন্দের দুজন শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আসলে এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। এনটিভি থেকে এমন একটি টেলিফিল্ম চেয়েছিল। আমিও চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। ' দীর্ঘদিন পর শমী কায়সারের বিপরীতে অভিনয় প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া থেকে মুঠোফোনে মাহফুজ আহমেদ বলেন, 'আমাদের চলচ্চিত্র থেকে যখন কবরী-শাবানা বিদায় নিলেন, তখন চলচ্চিত্র রুগ্ন হলো। ঠিক একইভাবে শমী-মিমি-বিপাশা অভিনয় ছেড়ে দেওয়ায় নাটকের গুরুত্ব কমে গেছে। তারা নিয়মিত অভিনয় করলে আমাদের নাটকের জন্য উপকার হতো। বিপাশা তো মাঝে-মধ্যে অভিনয় করে। শমীও আসছে। এখন মিমিও যদি নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয় করে তবে আমরা উপকৃত হব।' মাহফুজ আরও বলেন, 'আমি শমী-মিমি-বিপাশার সঙ্গে অভিনয় করে অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের বেশি দিন পাইনি।' টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে মাহফুজ বলেন, ' কাজটি নিয়ে আশাবাদী।'
শমী কায়সার বলেন, ' গল্পটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। আর চয়নিকা চৌধুরীর কাজ মানেই অনেক যত্নের ছোঁয়া। সঙ্গে মাহফুজ ভাই আছেন। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে টাইমিংটা ভালো ছিল। তাই অভিনয় করছি। আর ঈদ উৎসবে দর্শকের সঙ্গেও যোগ দেওয়ার ইচ্ছাটা ছিল।'
শমী-মাহফুজ শেষ অভিনয় করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনাতেই। 'তোমাকে ছুঁয়ে' শিরোনামের নাটকটি ২০০৫ সালে প্রচার হয়েছিল এনটিভিতে।