কেমন আছেন?
খুব... খুউব ভালো। কারণ এবার এসে পয়লা বৈশাখের স্বাদটা নিতে পারলাম। এর আগে এসেছিলাম অক্টোবরে। তবে বেশি দিন থাকা হয়নি। কয়েকটা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়েছিলাম।
এবারও কী একই উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসা?
না, ওই যে বললাম পয়লা বৈশাখের আনন্দ। আসলে বেশ কয়েকটি কাজ গোছাতেই এবার এসেছি। এর মধ্যে বৈশাখের ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে গেছে। অনেকদিন পর দেশের মাটিতে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করলাম। আয়ারল্যান্ডে থাকলেও বাংলাদেশকে খুব মিস করি। ১৩টি বছর সেখানে রয়েছি। তাই এ আনন্দ আমাকে দীর্ঘপথ চলায় শক্তি জোগাবে। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো দেশে আসার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দিয়েছি। যারা পথশিশুর সুস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবন-জীবিকা নিয়ে কাজ করছে।
ঢাকার বাইরে কোথাও বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে কী?
এবার আমার সন্তানদের নিয়ে এসেছি। তারা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলো। সময় স্বল্পতার কারণে ঢাকার বাইরে যেতে পারছি না। তবে সন্তানদের নিয়ে ইতিমধ্যে শিশুপার্ক ও নববর্ষের মেলায় ঘুরে এসেছি।
অনেকেই প্রশ্ন করেন প্রিয়তির সন্তান রয়েছে তাহলে মিস আয়ারল্যান্ড হলেন কীভাবে?
হা. হা.. হা...। সত্যি কথা বলতে কী এ প্রশ্নটা আমাকেও শুনতে হয়েছে বেশ কয়েকবার; তবে আয়ারল্যান্ডে নয়, এখানে। আসলে মিস আয়ারল্যান্ড প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে, রয়েছে বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিও। সুতরাং আমার ক্যাটাগরিতে সন্তান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। সব বাধা পেরিয়েই ২০১৪ সালে মুকুট জিতেছি মিস আয়ারল্যান্ডের।
এর আগে যখন ঢাকা এসেছিলেন তখন শোনা গিয়েছিল এখানে এক পরিচালকের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, আসলেও কী তা-ই?
চুক্তিবদ্ধ ঠিক নয়, সেটা ছিল প্রাথমিক কথাবার্তা। তবে এ দেশে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। হোক সেটা নাটক, নয়তো চলচ্চিত্র। ভালো কাজ হলে যে কোনো মাধ্যমেই ইচ্ছুক।
বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলবেন কী?
ব্যক্তি-জীবনে আমি একজন পাইলট এবং ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টর। এ ছাড়া মডেলিংও করছি। আর সংসারের যত্নআত্তি তো আছেই।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আসছে অক্টোবরে জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত হবে মিস আর্থ প্রতিযোগিতা। সেখানে অংশ নিতে নিজেকে প্রস্তুত করছি। এ ছাড়া পাইলটের পাশাপাশি মডেলিংও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
* শামছুল হক রাসেল