কোনরকম কাটছাট ছাড়াই সেন্সর পেল রওশন আরা নিপার 'মহুয়া সুন্দরী' ছবিটি। আজ দুপুরে সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ছবিটি দেখতে বসেন। সদস্যদের কোনরকম আপত্তি ছাড়াই আনকাট সেন্সর পায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই ছবিটি। এমনকি তারা ছবিটির নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করেছেন বলে জানান পরিচালক রওশন আরা নিপা।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরিচালক জানান, আজ বৃহস্পতিবার ৬টা ৩০ মিনিটে ছবিটি আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন পর একটি ব্যতিক্রম কাহিনী বোর্ডের নজর কেড়েছে বলে জানান তিনি। যদিও এই ছবিটি আগেও আবির্ভূত হয়েছে রূপালী পর্দায়। ১৯৬৬ সালে আলি মনসুর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া’। পরে ১৯৮৬ সালে শামসুদ্দিন টগর নির্মাণ করেন ‘মহুয়া সুন্দরী’।
গত বছরের অক্টোবরে গাজিপুরের হোতাপাড়ায় শুরু হয়েছিল এ ছবিটির শুটিং। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অর্থাৎ ‘মহুয়া সুন্দরী’ রুপে দেখা যাবে হালের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণিকে। ময়মনসিংহ গীতিকা’র কাহিনি অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিত এ ছবির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবেও অভিষেক হচ্ছে পরীর। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন এ অভিনেত্রী।এ ছবিতে আরও রয়েছেন মামুনুর রশিদ, সুমিত, মিঠুসহ আরও অনেকে।
সম্প্রতি এই ছবিটির ঘষা-মাজা অর্থাৎ পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ হয়েছে কলকাতার একটি স্টুডিওতে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরীমণি বলেন, চরিত্রটি আমার ড্রিম প্রজেক্ট। কাহিনীর পাশাপাশি এর গানগুলোও অসাধারণ। অভিনয়ের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছি এতে। বাকিটা না হয় দর্শকই বিচার করবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ