হলিউড, বলিউট, টলিউড কিংবা ঢালিউড- সবখানেই সিনেমাগুলোতে দিন দিন সেক্স নির্ভরতা বাড়ছে। অনেককিছুই উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে যা কয়েক দশক আগে দর্শকরা হয়ত চিন্তাও করতে পারতো না। যৌনতার সঙ্গে কৌতুক মিশে এখন নতুন ধারার সিনেমা হচ্ছে- 'সেক্স কমেডি'। বেশ কয়েক বছর ধরেই বলিউডে সেক্স-কমেডি ঘরানার সিনেমাগুলোকে দর্শক বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করছে। বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করছে এ ঘরানার সিনেমাগুলো। ব্যতিক্রম হয়নি চলতি বছরেও।
বছরের শুরুতে মুক্তিপ্রাপ্ত দুইটি সিনেমা কুছ কুছ লোচা হ্যায় এবং হান্টার ভালো সাড়া ফেলেছে বক্স অফিসে। চলতি বছরে বলিউডে মুক্তির তালিকায় রয়েছে সেক্স-কমেডি ঘরানার আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে তিনটি সিনেমা অনেকেরই প্রতীক্ষিত।
কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩
সিনেমাটির প্রথম দুইটি সিরিজ বেশ ভালো চলেছে। তাই প্রযোজক একতা কাপুর সাহস নিয়ে বানাচ্ছেন তৃতীয়টি। এখানেও থাকছেন তুষার কাপুর আর রীতেশ দেশমুখ। কেয়া কুল হ্যায় হাম সিনেমায় যৌন ব্যাপারগুলোকে একটু উসকে দিয়েছিলেন পরিচালক সঙ্গীত শিবন। এতেই সিনেমা হিট। তারপর দ্বিতীয় পার্ট কেয়া সুপার কুল হ্যায় হাম পরিচালক সচিন ইয়ার্দি আরো খোলামেলাভাবে সাজিয়েছিলেন। বেশিরভাগ সংলাপেই যৌনতা উঁকিঝুঁকি মারছিল। সে সিক্যুয়ালও সুপার হিট। ফলে তৃতীয় পার্টেও যে সেক্স ব্যাপারটি আরো কমেডি নিয়ে আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি
মাস্তি, তারপর গ্র্যান্ড মাস্তি। আর এবার গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি। গ্র্যান্ড মাস্তি যখন রিলিজ় হয়েছিল, তখন সেটি ছিল বছরের সবচেয়ে বেশি দৃশ্য কাটযুক্ত সিনেমা। ভারতীয় সেন্সর বোর্ড সহজে এই সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়নি। ২১৮টি কাটের পর মুক্তি পায় গ্র্যান্ড মাস্তি। সিনেমা হলের মুক্তি নিয়ে অবশ্য এত শর্ত ছিল না বোর্ডের। সমস্যা হয় টেলিভিশন রাইটস কেনার সময়। সিনেমাটি রিলিজ়ের ১৭ মাস পরে কাঁচি চালানো হয়েছিল। যৌনতা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি ছিল গ্র্যান্ড মাস্তি-তে। ফলে এবার যখন থার্ড পার্ট বের হচ্ছে তা নিয়ে তো দর্শকদের আগ্রহ থাকবেই।
মাস্তিজাদে
সানি লিওন। ব্যাস, আর কোনো কথা নয়। তিনি থাকা মানেই বাড়তি কিছু। সানি লিওন অভিনীত মাস্তিজাদে সিনেমাটির যে কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে তাতে সেক্স নিয়ে যে ভালোমতো কমেডি করা হয়েছে তা বোঝাই যায়। সানির সঙ্গে সিনেমাটিতে দেখা যাবে তুষার কাপুর ও বীর দাসকে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ আগস্ট ২০১৫