কলকাতা লিটারারি মিট-এর জমে ওঠা সন্ধ্যা। ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল ঝকঝক করছে তার নিজস্ব মহিমায়। আর পূর্ব দিকের মাঠে সামিয়ানা ছাড়িয়ে শ্রোতার ঢল যে মঞ্চ ঘিরে, তাতে পান্না-সবুজ পোশাকে ঝকঝক করছেন যিনি, তাঁর দ্যুতির উৎস তাঁর ব্যক্তিত্ব। রূপালী পর্দার সীমানা ছাড়িয়ে বলিউড অভিনেত্রী টাবুকে এদিন একেবারে নিজের করেই পেলেন কলকাতার মানুষ।
লিটারারি মিট-এ টাবুর মতো বলিউড-গ্ল্যামারের উপস্থিতি নিযে কলকাতার আঁতেলদের মিনমিনে আপত্তি খানিকক্ষণের মধ্যেই ধুয়ে গেল তাঁর আন্তরিকতায়। মঞ্চের প্রশ্নোত্তর পর্বে বার বার উঠে এল তাঁর অভিনীত নারী-চরিত্রগুলির অন্তরমহলের খাসখবর।
আলোচনা ভালোই চলছিল। গল্প, প্রশ্নোত্তর পর্ব সবই চলছিল ইংরেজিতে, মাঝেমধ্যে হিন্দি। ওপেন সেশনে শ্রোতাদের তরফ থেকে একের পরে এক প্রশ্ন। বেশির ভাগই ইংরেজিতে। কখনও কখনও স্মার্ট হিন্দিতে।
বেশ সুচিন্তিত জবাবই দিচ্ছিলেন টাবু। একেবারে শেষ প্রশ্নটি কেমন করে যেন উপচে এল খাঁটি বাংলায়— ''আপনার ভাবনার মৌলিক। পড়ার অভ্যেসও সাবলীল। আপনি লেখেন না কেন? কোনও বই লেখার ইচ্ছে কি রয়েছে?'' এমন সময় প্রশ্নকর্তার দিকে চোখ চলে যায় সবার। মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু হয়। একটুও থমকালেন না ৪৪বছরের ব্যক্তিত্বময়ী। সবাইকে অবাক করে জড়তাহীন বাংলাতেই বলে উঠলেন— ''বই লেখার কথা বলছেন? ভাবিনি যে, তা নয়। চেষ্টা করব লিখতে।''
আর কোনও কথা না বলে স্টেজ থেকে নেমে গেলেন 'মকবুল', 'হায়দার'-এর নায়িকা। দশর্কমঞ্চে তখন হাততালির ঝড়।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ