অসম্ভব, অকল্পনীয় সববিষয়কে চলচ্চিত্রের ভাষায় গেঁথে মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে জুড়ি মেলা ভার স্ট্যানলি কুবরিকের। আমেরিকার এ চলচ্চিত্র নির্মাতার পরিচালিত '২০০১ : এ স্পেস ওডিসি' তো এখনো সায়েন্স ফিকশন ঘরানার চলচ্চিত্রে রীতিমতো এপিক। ১৯৬৮ সালে কুবরিক কীভাবে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারলেন, সেটা রীতিমতো রহস্য। তা এমন মেধাবী চলচ্চিত্রকারের কথা তো ফেলে দেয়ার মতো নয়।
আমেরিকার চন্দ্রাভিযান নিয়ে কুবরিক ১৯৯৯ সালে যে কথা বলছেন তা নিয়ে তাই এখনো চলছে জল্পনা। কুবরিক নাকি ওই বছর দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মার্কিনীদের চাঁদে অবতরণের পুরো ঘটনা ছিল সিনেমা এবং তিনি নিজেই ওইসব দৃশ্য ধারণ করেছিলেন।
১৯৯৯ সালে ওই সাক্ষাৎকার দিলেও তা প্রকাশ হয় অনেক পরে। কিন্তু সেই সাক্ষাৎকার যে প্রকাশ হয়েছে তাও তো কম দিন হয়নি। তবে কেন এখনো এ নিয়ে তর্ক চলছে? জবাব একটাই, স্ট্যানলি কুবরিক। কুবরিক এমন একজন নির্মাতা যিনি যেকোনো অবিশ্বাস্য বিষয়কে বিশ্বাসযোগ্যভাবে কীভাবে ক্যামেরায় তুলে আনা যাবে তা ভালোভাবেই জানতেন। এ বিষয়ে সাধারণ চলচ্চিত্রপ্রেমী থেকে চলচ্চিত্রবোদ্ধা সবাই একমত ।
কুবরিকের সেই সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয় তার মৃত্যুর তিন দিন আগে। পরে চলচ্চিত্র নির্মাতা টি. প্যাট্রিক মিউর সেটি প্রকাশ করেন। যা মার্কিনীদের চন্দ্রবিজয়ের সত্যতাকে অনেকখানি ম্লান করে দেয়। স্ট্যানলি কুবরিকের স্ত্রী ক্রিস্টিনা অবশ্য দাবি করেছিলেন, তার স্বামীর সাক্ষাৎকারটি বানোয়াট। তিনি এ ধরনের কোনো সাক্ষাৎকার দেননি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কারণ শুধু কুবরিকই নন, অনেক বিজ্ঞানমনষ্ক ব্যক্তিরাও নাসার চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু মার্কিনীদের কাছ থেকে তার উপযুক্ত উত্তর মেলেনি।
বিডি প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা