বলিউডের এভারগ্রিন বিউটি তিনি। পর্দা থেকে তিনি যতবার দর্শকের চোখে চোখ রেখেছেন, ‘খুব সুন্দর’ রেখায় আছন্ন হয়েছে প্রজন্ম। এখন বয়স বেড়েছে তার, তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন ৬২’র মাইলস্টোন। কিন্তু কে না জানে, সিনেমার ঢং বদলায়, নায়িকারা আসে-যায়, কিন্তু রেখার বয়স বাড়ে না। এ যেন চির যৌবন।
ভানুরেখা গণেশন থেকে বলিউডের এভারগ্রিন ডিভা হয়ে ওঠার পথটি সোজা ছিল না। সিনেমার ঝকঝকে উপস্থাপনার নেপথ্যে যেমন থাকে বহু সংগ্রামের কাহিনি, ঘাম রক্তের ইতিহাস, রেখার ব্যক্তিগত জীবনের সেই ইতিহাসটিও কারও অজানা নয়। এ এক আশ্চর্য সমাপতন যে, সংগ্রামে-সাফল্যে তিনি হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় নারী শক্তির ক্ষমতায়নের প্রতিভূ হয়ে উঠেছেন।
জীবিকার প্রয়োজনে রেখাকে একাধিক এমন ছবি করতে হয়েছে, যা নিম্নমানের। মানুষ সে ছবির কথা মনে রাখেনি। কিন্তু মনে রেখেছে রেখাকে। যে জেদ ও অধ্যবসায় তিনি দেখিয়েছেন তাতে বি-গ্রেড সিনেমার নায়িকা থেকে নিজেকে আর্ট হাউসের অন্যতম প্রধান ভূমিকায় তুলে নিয়ে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে হিন্দি সিনেমার দুনিয়া। নারী প্রধান সিনেমার যে পথ তিনি তৈরি করেছিলেন, আজ তারই সুফল যে বলিউড পাচ্ছে তা অনস্বীকার্য।
গসিপ, সম্পর্কের ভাঙা-গড়া সব মিলিয়ে ছবির মতোই তার জীবন বর্ণময়। বলা বাহুল্য তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান। পুরস্কার বা সিনেমার সংখ্যায় তাই পরিমাপ করা কঠিন। সংগ্রামের যে সৌন্দর্য, লালিত্যা-কমনীয়তার সঙ্গে ব্যক্তিত্বের কাঠিন্য মিশলে যে অনমনীয় আভিজাত্য ফুটে ওঠে তার নামই রেখা।
বিডি প্রতিদিন/১১ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল