কাহিনী সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল, যখন রাজা-রাণী নয় এ ধরাধামে রাজত্ব ছিল দানবকূলের। চারপেয়ে সেই দানবের দলকেই নয়ের দশকে পর্দায় ফিরিয়ে এনেছিলেন ডা. জন হামন্ড। মশার জীবাশ্ম থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন অতীতের দানবদের। 'জুরাসিক পার্ক' গড়েছিলেন ডাইনোসরদের জন্য। মানুষ মুগ্ধ হয়ে দেখেছিল দানবের মুলুকে মানুষের বাঁচার সে কাহিনী।
এখানেই থেমে ছিল না 'জুরাসিক পার্ক'-এর গল্প। কালে কালে তা বারবার ফিরে এসেছে। নাম বদলে হয়েছে 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড'। ২০১৫ সালের সে কাহিনীও মানুষের মন জয় করেছিল। কেবলমাত্র নায়িকা ব্রায়াস ডালাস হাওয়ার্ড, কিংবা নায়ক ক্রিস প্যাটের জন্য নয় নতুন জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ভারতীয়দের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল ইরফান খানের জন্যও। স্বল্প সময়ের চরিত্রেও ইরফান নজর কেড়েছিলেন দর্শকদের।
এবার 'ফলেন কিংডম'-এর কাহিনী নিয়ে ফরছে 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড'। আগের সিনেমার শেষ থেকে এ কাহিনীর শুরু। ক্লেয়ার-ওয়েনের সামনে এবার নতুন পরীক্ষা। কারণ এবার দানবকূল কেবল শক্তি দিয়েই লড়ছে না, তারা লড়ছে বুদ্ধি দিয়েও। শত্রুর চাল বুঝতে সক্ষম তারা। আর এটাই তাদের করে তুলেছে আরও ভয়ঙ্কর। ডাইনোসরই এবার মানুষের জন্য ফাঁদ পাতছে 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম'-এ। মেতে উঠেছে রক্তের নতুন খেলায়। প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা ওয়েন ডাইনোসরদের মন আর পড়তে পারছেন না। বুঝতে পারছেন না তারা কী চায়? কেন এই হত্যালীলা চলছে?
সোমবারই সামনে এল এই নতুন টিজার। ট্রেলারও মুক্তি পাবে এই সপ্তাহেই। নতুন 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড'-এর কাহিনী লিখেছেন ডেরেক কনোলি ও আগের ছবির পরিচালক কলিন ট্রেভরো। নতুন এই ছবিতে ফিরে আসছেন ডা. ইয়ান ম্যালকম ওরফে জেফ গোল্ডব্লামও। নতুন-পুরনো মিশিয়েই আগামী বছরের গরমের ছুটিতেই পর্দায় মুক্তি পাবে 'ফলেন কিংডম'-এর এ কাহিনী।
বিডি প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত