একসময় বলিউডে রাজত্ব করেছিলেন শ্রীদেবী। অভিনয় আর নাচ দিয়ে গত শতকের আশি আর নব্বই দশকের হিন্দি ছবির দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। ‘সোলা শাওন’ ছবি দিয়ে শ্রীদেবীর বলিউডে অভিষেক হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। তারপর থেকে শ্রীদেবী ধীরে ধীরে ভক্তের হৃদয়ে এমনভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন যে, তার চলে যাওয়া যেন মেনে নিতে পারছে না কেউই৷ তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। কেউ স্যোশাল মিডিয়ায় তাকে শ্রদ্ধা জানান, কেউবা তাকে চোখের জলে বিদায় জানান। কিন্তু এত ভিড়ের মাঝেও এক ভক্ত কিন্তু উঠে এলেন আলাদাভাবে। তবে তার পিছনের কারণটা অবশ্যই ভালোবাসা এবং তার থেকেও বেশি কিছু বললে হয়তো অত্যুক্তি করা হবে না। এমনই এক ভক্তের নাম ওমপ্রকাশ মেহরা।
আসলে বলিউডের চাঁদনিকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে তার সঙ্গেই সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন ওমপ্রকাশ। আর স্বপ্ন বুকে বেঁধে রেখে তিনি অবিবাহিতই থেকে গিয়েছিলেন। যদি কখনও চাঁদনিকে বাস্তবের মাটিতে পাওয়া যায়।
কিন্তু শ্রীদেবীর মৃত্যুতে ওমপ্রকাশের সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। শুধু তাই না, শ্রীদেবীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছেন তিনি।
জানা যায়, শ্রীদেবীকে স্ত্রী হিসেবেই মনে করতেন ওমপ্রকাশ। তাই স্ত্রীর বিয়োগে তিনি এতোটাই শোকাহত যে শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার আয়োজন করেন। যেখানে মঞ্চে শ্রীদেবীর ছবিতে মালা দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়। 'স্ত্রী'র উদ্দেশ্যে ৩ হাজারেরও বেশি চিঠি লিখেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু একবারের জন্য মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ আসেনি তার।
এমনকি ২০০২ সালে ভোটার কার্ডে স্ত্রী হিসেবে শ্রীদেবীর নাম লিখিয়েছিলেন ওমপ্রকাশ। তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সহজভাবেই জানাতেন যে, 'তিনি বিবাহিত এবং শ্রীদেবী তার স্ত্রী।
ওমপ্রকাশের বন্ধুদের মধ্যে একজন জানান, মা মারা যাওয়ার পরও ওমপ্রকাশ মাথা ন্যাড়া করেননি। কিন্তু শ্রীদেবীর চলে যাওয়ায় শোকাচ্ছন্ন ওম মাথা ন্যাড়া করেছেন। শ্রীদেবীর প্রথম ছবি দেখেই তার সঙ্গে দেখা করার বাসনাকে মনের মধ্যে লালন করতে থাকেন তিনি। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস, সেই ইচ্ছা অধরাই থেকে গেল। তবে সকলকে কাঁদিয়ে শ্রীদেবী চলে গেলেও সাতজন্ম পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন ওমপ্রকাশ।
বিডি প্রতিদিন/০৬ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম