বাসন্তী রঙে আজ ফাগুন এসেছে। কোকিলের কুহ কুহ ডাক জানান দিচ্ছে ঋতুরাজের আগমন। ফাগুনে আগুন লেগেছে প্রকৃতিতে। মনে লেগেছে দোলা। কারণ ফাগুন এলেই বাঙালির প্রাণে ঢেউ লাগে। শীতের জড়তা কাটিয়ে তারা প্রকৃতির মতোই বসন্ত উৎসবে মাতে।
বাঙালির ফাগুন উৎসবে প্রাণ আনে গান। ফাগুন ও বসন্ত নিয়ে এ প্রজন্মের কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল এ খালিদ লিখেছেন বেশ কয়েকটি গান। যার মধ্যে ‘ওই ফাগুনের ঊষায়’, ‘ফাগুন এসে কড়া নাড়ে’ এবং ‘বসন্ত এলো রে’ শিরোনামের গান তিনটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
ফাগুনের ভোরবেলায় বাসন্তী শাড়ি পড়ে গাঁয়ের বধূ হেঁটে যায়। তার পায়ের আলপনা ঝিলিক দিয়ে ওঠে। সেই পায়ে পরা নূপুর রিনি রিনি বাজে। মাঘের শেষে ফাগুন আসে। চলে যায় শীত। যায় শীতের পাখিও। যে পাখি দেখতে মানুষ ভিড় জমাতো, তার কথা আজ অনেকেরই মনে নেই। কারণ প্রিয়জন চোখের আড়াল হলে ক'জনই বা তাকে মনে রাখে? তাই ফাগুনে যার মনে আগুন লাগে, তাকে ঘরে বেঁধে রাখা দায়। মন তার চলে যায় দূরের বনে। খোঁজে মনের মানুষকে। এমন দৃশ্যকল্প গাঁথা হয়েছে ‘ওই ফাগুনের ঊষায়’ শিরোনামের গানটিতে। চৎমকার এই গানটির সুর করেছেন জনপ্রিয় সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানটি কণ্ঠে ধারণ করেছেন জিনিয়া জাফরিন লুইপা।
অন্যদিকে, ‘ফাগুন এসে কড়া নাড়ে’ শিরোনামের গানটি রোমান্টিক ঘরানার। এটিরও সুর করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানটির দুটি ভার্সন করা হয়েছে। একটি যুগল কণ্ঠের। যেটি গেয়েছেন মেহেদী হাসান এবং লাবণ্য। অন্যটি একক কণ্ঠের। এটি গেয়েছেন নন্দিতা।
এছাড়া, ‘বসন্ত এলো রে’ শিরোনামে আরেকটি গান লিখেছেন মাহবুবুল এ খালিদ। এটিরও সুর করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গানটি গেয়েছেন দিনাত জাহান মুন্নি এবং মেহেদী হাসান। সবগুলো গানই মাহবুবুল এ খালিদের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.khalidsangeet.com -এ প্রকাশিত হয়েছে।
শ্রোতাদের জন্য মাহবুবুল এ খালিদের লেখা গান রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে। গানগুলোর অডিও, ভিডিও, মিউজিক ট্র্যাক ও রিংটোন পাওয়া যাবে খালিদসংগীত ডটকম নামের ওয়েবসাইটে।
‘ওই ফাগুনের ঊষায়’ গানটির ওয়েব লিংক: http://www.khalidsangeet.com/musics/details/oi-faguner-ushay
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব