কোভিড-১৯ বা করোনা প্রাদুর্ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড গ্রুপ অব বাংলাদেশ (ইউজিবি)। সংস্থাটি দ্রুত কাজ শুরু করবে বাংলাদেশে না খেয়ে থাকা অসহায় পরিবারগুলোর জন্য। এই সংস্থাটির সাথে জড়িত হয়েছে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা নিজ নিজ জায়গা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নিজ দেশ এবং দেশের অস্বচ্ছল পরিবাগুলোকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে।
সংস্থাটির ফাউন্ডার এবং সাউদার্ন গ্রুপের ডিরেক্টর কে এইচ বাঁধন জানান, প্রবাসীরা নিজ নিজ জায়গা থেকে মাসে ২ ডলার করে দিবে যা খুব বেশি নয়। আর বাংলাদেশে থাকা সকলেই মাসে ১০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাবে। এই টাকার মাধ্যমেই চলবে অস্বচ্ছলদের জন্য আমাদের প্রজেক্ট। বর্তমানে আমাদের ভলেন্টিয়ার এর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার । ২ লাখ ভলেন্টিয়ারে উন্নতি হলে আমরা-আমাদের কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করবো। যা প্রতিমাসে দেশের অসহায় মানুষদের সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনভাবেই টাকা মেরে খাওয়ার সিস্টেম থাকবে না, আমরা প্রতি পয়সার হিসাব অনলাইনের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরবো। প্রতিটি অর্থের হিসাব ফেসবুক, ইউটিউব অথবা টুইটারের মাধ্যমে আমাদের দানকারীদের সামনে তুলে ধরবো। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টও তুলে ধরা হবে।
এমন মহৎ উদ্যোগকে দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষজন সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রবাসীরা আবারও প্রমাণ করলেন দেশের ক্রান্তিলগ্নে তারাও এক ভরসার নাম। বাংলাদেশে কার্যক্রমটি দীর্ঘায়িত করার জন্য ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। পাশাপাশি মিডিয়া অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ইউজিবি এর সাথে সংযুক্ত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বি. খন্দকার বলেন, প্রবাসে থাকলেও দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি টান সর্বদাই থাকে। দেশের যে কোন ক্লান্তিলগ্নে আমি বা আমার প্রতিনিধি টিম সর্বদাই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। এর পূর্বে রানা প্লাজা ট্রাজেডির সময় আমরা ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। সেখানের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রীও প্রদান করি। বর্তমানে সারা বিশ্বের ন্যায় দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ইউজিবি বদ্ধ পরিকল্প ।
বুলবুল টুম্পা বলেন, এটি নন-প্রফিটেবল সংস্থা। আমি সামাজিক কার্যক্রমের দায়িত্ববোধ থেকে ইউজিবির পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করি। ইউজিবির মাধ্যমে আমরা দেশের বিশাল সংখ্যাক অসহায় মানুষদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারবো। আমরা সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে পারবো।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক