বিভিন্ন দেশের মতো জার্মানিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই দেশটির স্টুটগার্ট শহরে ছড়িয়ে পড়েছে দাঙ্গা। হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া এই দাঙ্গায় অসংখ্য দোকানপাট ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট করা হয়েছে। হামলা হয়েছে পুলিশের ওপরও। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলাকারীদের আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা যায়, রবিবার মধ্যরাতে শ্লসপ্লেৎস স্কয়ার এলাকায় মাদক পরীক্ষা করছিল পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকটি গ্রুপ জড়ো হয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় এবং একপর্যায়ে আক্রমণ করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে দাঙ্গায় রূপ নেয় এ সহিংসতা। এতে অংশ নিয়েছিল পাঁচ শতাধিক মানুষ। দাঙ্গাকারীরা লাঠিসোটা, ইট-পাথর নিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আশপাশের দোকানপাটেও হামলা চালায় তারা।
টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দৃর্বৃত্তরা দোকানের জানালা ভাঙচুর করছে ও মালামাল লুটপাট করছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকার একটি জুয়েলারির দোকান সম্পূর্ণ লুট করা হয়েছে, একটি মোবাইল ফোনের দোকানেও লুটপাট হয়েছে।
পরে রাত ৩টার দিকে বাড়তি পুলিশ সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্টুটগার্টের মেয়র ফ্রিৎজ কুন এক টুইটে জানিয়েছেন, তিনি এমন সহিংস ঘটনায় বিস্মিত। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।
বাডেন-উটেমবার্গ রাজ্যের প্রধান উইনফ্রায়েড ক্রেশম্যান এ ঘটনাকে ‘নৃশংস সহিংসতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমন সন্ত্রসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শিগগিরই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/কালাম