বেশ কিছু দিন ধরেই বলিউড তারকা সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং সারা আলি খানের থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে। সুশান্তের সেই ভ্রমণ নিয়ে কিছু দিন আগেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন তার বন্ধু সাব্বির আহমেদ। তিনি জানান, ২০১৮-এর শেষে ওই ভ্রমণে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে ছিলেন তার সাবেক প্রেমিকা সারা আলি খানও।
শুধুমাত্র সারার জন্যই নাকি ওই বিলাসবহুল ভ্রমণে একটি চার্টাড প্লেন ভাড়া করেছিলেন সুশান্ত। সারা চেয়েছিলেন, তাদের এই ভ্রমণের কথা গোপনীয় রাখতে। আর সারাকে খুশি করতেই নাকি টাকার তোয়াক্কা করেননি সুশান্ত।
এর আগে রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ওই ভ্রমণে নাকি সুশান্ত আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন। যদিও রিয়া বলেছিলেন, সেটি ‘বয়েজ ট্রিপ’ ছিল। সুশান্ত এবং তার পুরুষ বন্ধুরা গিয়েছিলেন।
যদিও সুশান্তের সহযোগী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাব্বির সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু দিন আগেই সারার যাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, সুশান্ত-সারা ছাড়াও ওই ট্রিপে ছিলেন কুশাল জাভেরি, সিদ্ধার্থ গুপ্ত, আব্বাস, মুস্তাক এবং সাব্বির নিজে।
সাব্বিরের দাবি, ব্যাংকক পৌঁছে প্রথম দিন সবাই মিলে বীচে ঘুরলেও পরে নিজেদের হোটেলবন্দী করে নেন সারা ও সুশান্ত। কিন্তু ভ্রমণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংককে সুনামি সতর্কতা জারি হওয়ায় দেশে ফিরে আসেন সারা-সুশান্ত। বিমানবন্দরে সারাকে নিতে আসেন সুশান্তের বন্ধু স্যামুয়েল।
এর আগে সারা-সুশান্তের প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন স্যামুয়েলও। সুশান্তকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্যামুয়েল। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, কেদারনাথ' ছবির সময়েই নাকি সারা-সুশান্ত একে অন্যের প্রেম হাবুডুবু খাচ্ছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, সারা শুধু সুশান্ত নয়, সুশান্তের পরিবার, বন্ধু, এমনকি তার স্টাফদের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। আমি অবাক হয়েছি সারা যখন এই সম্পর্ক ভেঙে চলে আসে। আমার মনে হয় বলিউড মাফিয়ারাই সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য করেছিল সারাকে।
সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/এমআই