সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে একসঙ্গে তদন্ত করছে ভারতীয় তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি। অভিনেতার মৃত্যু তদন্তে মাদকের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর আলাদা করে একটি মামলা দায়ের করেছে এনসিবি।
সেই মামলার সূত্রেই সুশান্তের মৃত্যুতে জড়িত সন্দেহে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, অভিনেতার হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, রাঁধুনী দীপেশ সাওয়ান্ত ও এক ড্রাগ সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার এবং সোমবার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে সামনে বসিয়ে এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
জেরায় শৌভিক বেশ কিছু ড্রাগ ব্যবসায়ীর নাম বলেছেন। এছাড়াও তিনি বলেছিলেন, বোন রিয়ার নির্দেশেই তিনি মাদক আনতে যেতেন।
তবে সোমবার নার্কো কর্মকর্তাদের জেরায় রিয়া স্বীকার করেছেন, ভাইকে দিয়ে মাদক আনালেও তিনি নিজে কোনওদিন কোনওরকম মাদক গ্রহণ করেননি।
তবে এদিন রিয়া আরও স্বীকার করেন তিনি ড্রাগ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাঁচবার দেখা করেছিলেন পরিহার বস্তিতে এবং দু’একবার তারাও এসেছেন সুশান্তের বাড়িতে। তবে রিয়া জেরায় বলিউডের এমন কিছু জনপ্রিয় তারকার নাম জানিয়েছেন যারা নিয়মিত ড্রাগ নিতেন।
প্রায় ১৮ থেকে ১৯ জনের নাম নিয়েছেন রিয়া, এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সেই সব ব্যক্তিরা অবশ্য রয়েছেন এনসিবির তালিকাতেও। তবে রিয়া কোন সূত্রে বা কীভাবে নামগুলো বলেছেন তা এখনও অজানা।
রিয়া আরও জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে অভিষেক কাপুরের কেদারনাথের শ্যুটিং চলাকালীন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সুশান্ত। এবং এরপর মাদক সংগ্রহও শুরু করেন সুশান্ত। তবে রিপাবলিক টিভির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেহেতু রিয়া মাদক যোগের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু এনসিবির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হবে ইডি এবং সিবিআইকে। আর তা হলে দ্রুতই গ্রেফতার হতে পারেন এই অভিনেত্রী।
রবিবার প্রথমবারের জন্য এনসিবির দফতরে আসেন রিয়া। সুশান্তের মৃত্যুতে যে ওষুধগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল সেই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তবে এদিন এনসিবি’র পক্ষ থেকে অন্য একটি টিম জেরা করে রিয়াকে। এই ড্রাগস তিনি কোথা থেকে আনতেন, কীভাবে আনাতেন বা আরও কারা যুক্ত রয়েছে এই চক্রে সে সম্পর্কে বিশদ জিজ্ঞেস করা হয়। সুশান্তের বাবা এফআইআরে লিখেছিলেন, জোর করে কড়া ডোজের ওষুধ দেওয়া হতো তার ছেলেকে। তাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম