মুম্বাই পৌরসভা সামান্য ছুতা ধরে গুড়িয়ে দিয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের ‘মণিকর্ণিকা’র অফিসের একাংশ। অনুমতি ছাড়াই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগেই ভাঙা হচ্ছে কঙ্গনার এই বিরাট অফিস। ৪৮ কোটি টাকা দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এই অফিস বানিয়েছিলেন কঙ্গনা।
বুধবার সকালে মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশে কঙ্গনার অফিস গুড়িয়ে দিতে বুলডোজার নিয়ে উপস্থিত হয় মুম্বাই পুলিশ।
তবে কঙ্গনার অফিস সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেওয়ার আগেই মুম্বাই হাইকোর্ট এই ধ্বংস কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেন। তবে এর মধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে কঙ্গনার অফিসের বেশ কিছু স্থাপনা।
পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মসের দফতর ভাঙার কাজ শুরু করেছিল বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা। তবে আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে মুম্বাই পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিন আদালতে যে আবেদন জমা দিয়েছেন কঙ্গনা, তার জবাব দিতে বৃহন্মুম্বাই পৌরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখে মুম্বাই ফিরেছেন কঙ্গনা। এর মধ্যেই এ দিন দুপুরে তার সাধের অফিস ভাঙতে শুরু করে দেয় বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা (বিএমসি)। তা নিয়ে বুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। তাতে সাড়া দিয়ে এ দিন নির্মাণ ধ্বংসের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে একদিন আগে পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মসের একটি দফতরের বাইরে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় বিএমসি।
নোটিশে বলা হয়, কঙ্গনার অফিসের রান্নাঘর ও বাথরুম বিনা অনুমতিতেই একস্থান থেকে আরেকস্থানে সরানো ও নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বুধবার সকালে তার জবাবও দেন কঙ্গনা। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় কর্তৃপক্ষ। এদিন দুপুরেই বুলডোজার নিয়ে অফিস ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় বিএমসি। ওই অফিসের বাইরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনীও।
কঙ্গনা এই বিষয়ে টুইটারে বলেন, এটা গণতন্ত্রের মৃত্যু। এই কারণেই মুম্বাইকে পাকিস্তান বলেছিলাম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন