ফের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের শুনানিতে আরিয়ান খানকে আজ আদালতে তোলা হয়। এদিন আরিয়ানসহ আরও সাতজনকে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান। তিনি বলেন, এতে তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হবে।
এদিকে, আজ আদালতে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন শাহরুখ-পুত্র। তার প্রশ্ন, মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীর পার্টিতে অনেক লোক থাকলেও বেছে বেছে তাদের মতো কিছু লোককে কেন গ্রেফতার করা হল। আরিয়ানের ভাষ্য, পার্টিতে ছিল ১৩০০ লোক। কিন্তু গ্রেফতার করা হল মাত্র ১৭ জনকে।
একই সঙ্গে আদালতে তাঁর দাবি, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে মাদক মেলেনি। যদিও মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাতে লিখে নিজের ‘ভুল’ কবুল করেছিলেন আরিয়ান। আরিয়ানের সেই হাতে লেখা বয়ানও প্রমাণ হিসাবে আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে তার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার জামিনের শুনানিতে আরিয়ান জানান, প্রতীক নামে তার এক বন্ধু এই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে তার আলাপ করিয়েছিলেন।
সেই ব্যক্তি আরিয়ানকে প্রমোদতরীর পার্টিতে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আরিয়ানকে জানানো হয়েছিল, তার নাম থাকবে ‘ভিভিআইপি’ তালিকায়। শাহরুখ খানের পুত্র এলে পার্টির জাঁকজমক বেড়ে যাবে। মূলত এই কারণেই নাকি ডেকে আনা হয়েছিল আরিয়ানকে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক