২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৫৮

শাহরুখপুত্রকে ফাঁসানো হয়েছে, দাবি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের

অনলাইন ডেস্ক

শাহরুখপুত্রকে ফাঁসানো হয়েছে, দাবি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের

আরিয়ান খান, নবাব মালিক ও সমীর ওয়াংখেড়ে

মাদককাণ্ডে আরিয়ান খান ধরা পড়ার পর থেকেই শাহরুখ খান পুত্রকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন এনসিপি নেতা তথা ভারতে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। আর এ জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।

এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক এবার হুঁশিয়ারির ঢঙে ভবিষ্যদ্বাণীও করলেন যে, ওয়াংখেড়ে তার চাকরি খোয়াবেন। 

সর্বভারতীয় এক সাংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করলেন এনসিপি নেতা।

নবাব মালিক বলেন, এটা ব্যক্তিগত লড়াই নয়। আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক মাদক চক্র ধরাই এনসিবির কাজ। সামান্য পরিমাণ মাদক সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখা পুলিশের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। এনসিবি গত ৩৫ বছরে এ ধরনের কাজ করেনি।”

মহারাষ্ট্রের এই মন্ত্রীর অভিযোগ, এই খেলা শুরু হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী মামলাকে ঘিরে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ছিল। হাই কোর্টও রিয়াকে বেকসুর খালাস করেছে। তার পরই হঠাৎ করে দেখা গেল বলিউডের বেশ কয়েকজনকে এ বিষয়ে ডাকা হল। সেই তালিকায় ছিলেন ২৫ জন। কিন্তু কেন তাদের ডাকা হল তার কোনো চার্জশিটও ছিল না, দাবি করেছেন এনসিপি নেতা।

তার কথায়, “এনসিবি এগুলিকে খোলা মামলা হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তাদের ইচ্ছামতো তলব করেছে। মাদকাসক্তদের রিহ্যাবে পাঠানো উচিত। যদি কেউ মাদক নিয়েই থাকেন, তা হলে তার পরীক্ষা করানো হোক। প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু এনসিবি এ ধরনের কাজ করে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।”

মালিকের জামাইও মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়েই সেই মামলার তদন্ত করছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার আট মাস পরই জামিনে ছাড়া পান মালিকের জামাই।

এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা বলেন, “তখনও বলেছিলাম জামাইকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে। তার পর থেকেই সব তিছুর উপর নজর ছিল আমাদের।” 

ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণও হাতে রয়েছে বলে দাবি মালিকের। ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে। তখনই ঘুষচক্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসবে। 

এদিকে, ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এই মামলায় ২৫ কোটি ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি সেই অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে পাল্টা দাবি করেছেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে।

সূত্র: আনন্দবাজার।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর