বগুড়ার শূন্য দুই আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে একতারা প্রতীক নিয়ে লড়বেন মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার হাতে প্রতীক তুলে দেন। এসময় হিরো আলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে যদি কোন প্রকার হামলা হয় তাহেল পাল্টা হামলা করা হবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা আমরা মেনে নেবো না।’
আলম আরও বলেন, ‘এবার আমাদের কেউ হামলা করলে তার জবাব আমরা দিব। নেতাকর্মীও বেশি রয়েছে তাই ভয়ের কিছু নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই নির্বাচনে আমরা অবাদ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সাধারণ জনগণ যাতে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়াবাসী আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন বলে আমি আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার চাওয়া প্রতীক সিংহ ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে একতারা প্রতীক পেয়েছি। তবে প্রতীক যেটাই হোক বগুড়ার সাধারণ জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দেবেন। এটাই জনগণের পছন্দের প্রতীক।’ এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পূর্বে হাইকোর্টে রিট করে বাতিল হওয়া প্রার্থীতা ফিরে পায় হিরো আলম।
জানা যায়, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রম) আসনে ‘সিংহ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু এবার এই প্রতীক ফাঁকা থাকার পরেও কেন সিংহর পরিবর্তে একতারা প্রতীক পেলেন তিনি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের নাম রয়েছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য প্রতীক রয়েছে। ৪৩ নম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), যার প্রতীক ‘সিংহ’। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয় দলটি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান সহ প্রমুখ। এর আগে, বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশন থেকেও বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন হিরো আলম।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক