সাংবাদিক পীর হাবিব মদ্যপান করেন কিনা তা আমি জানিনে - তবে তিনি প্রচুর সিগারেট খান! তার শৈশব কৈশোর সম্পর্কে আমি জানিনে - তবে তার যৌবন এবং কর্ম সম্পর্কে যতটুকু জানি তাতে আমি মরে গেলেও বিশ্বাস করবো না যে তিনি মাতাল হয়ে কতগুলো পতিতার সঙ্গে হিন্দি গানের তালে তালে অন্তর্বাস পরে ঘেটুপুত্রের মতো নাচতে পারেন!
পীর হাবিব বাংলাদেশের একজন সব্যসাচী সাংবাদিক। তিনি সমান তালে এবং সমান দক্ষতা নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে পারেন এবং একই ভাবে লিখতে পারেন সম্পাদকীয়। তিনি চমৎকার করে যেমন কথা বলতে পারেন তেমনি পারেন যে কোনো অনুষ্ঠান সাবলীলভাবে উপস্থাপনা করতে। তার এই বহুমুখী প্রতিভার জন্য তিনি যেমন নন্দিত তেমনি ঈর্ষাকাতর মন্দ লোকদের চক্রান্তে জর্জরিত।
তিনি রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন এবং শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। তিনি অন্য সব দলকানা সাংবাদিকদের মতো আওয়ামী লীগের দালালি করেন না। যারা তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দেন তারা যদি তার সরকার বিরোধী লিখাগুলো পড়তেন তবে দেখতে পেতেন যে ওই গুলোর ঝাঁজ মির্জা ফখরুল অথবা রিজভী সাহেবের বক্তব্যের চেয়ে শত গুণ তীব্র।
পীর হাবিব তার কর্ম, মেধা এবং মননের কারণে যে স্থানে পৌঁছে গেছেন সেখানে তার সমালোচনা করতে হলে কিছুটা যোগ্যতা থাকা লাগবে - তাকে অপমান করার জন্যও বুদ্ধি-শুদ্ধি দরকার এবং তাকে খাটো করার চেষ্টার জন্য অনেক নির্ভুল প্রমাণ দরকার।
পীর হাবিব সম্পর্কে এতো কথা বলার কারণ হলো কতিপয় নির্বোধ লোক একটি ভিডিও ছেড়েছে কয়েক দিন আগে, যেখানে একজন মোটা সোটা গোলমুখের মদ্যপ হিন্দি গানের তালে তালে জাইঙ্গা পরে পতিতাদের সঙ্গে জঘন্য নোংরাভাবে নাচানাচি করছে। যারা ভিডিওটি আপলোড করেছে তারা প্রথমে কয়েক দিন বলার চেষ্টা করেছে যে মদ্যপ লোকটি হলো জি কে শামীম! এরপর তারা প্রচার করছে যে - লোকটি হলো পীর হাবিব!
মানুষের রুচি-অভিজ্ঞান এবং বিবেক কতটা নিষ্ঠুর হলে একজন মানুষ সম্পর্কে এই ধরনের নোংরা প্রচার চালাতে পারে। অন্যদিকে, মানুষের বিচার বুদ্ধি, দৃষ্টি শক্তি কতটা ভোঁতা হয়ে গেলে তারা এই ধরনের জঘন্য অপপ্রচারে যোগ দিয়ে নিজেদের পাপের বোঝা ভারি করতে পারে।
আমি পীর হাবিবের সকল কর্মের সাফাই গাইছি না। আমি স্বীকার করছি - তার অনেক কথা এবং অনেক লিখা অনেককে ক্ষেপিয়ে তোলে, অনেককে আশাহত এবং যুগপৎভাবে বিরক্তির সৃষ্টি করে।কিন্তু তাই বলে পীর হাবিবকে অপদস্ত করার জন্য একটি মিথ্যা ভিডিও ক্লিপের আশ্রয় নিতে হবে এমন অপচেষ্টা কিছুতেই বরদাস্ত করা যায় না।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব