শিরোনাম
২৫ মে, ২০২০ ১০:২৮

সিটি মেয়র কি এমন করেছেন যে তাকে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হল!

শওগাত আলী সাগর

সিটি মেয়র কি এমন করেছেন যে তাকে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হল!

শওগাত আলী সাগর

টরন্টোর সিটি মেয়র জন টরি ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, শহরের নেতা হিসেবে তিন উৎকৃষ্ট আচরণ করতে পারেননি। নাগরিকদের যে বিধি মানতে বলা হচ্ছে- সেই বিধি তিনি অনুসরণ করতে পারেননি। সে জন্য তিনি বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

সিটি মেয়র কি এমন করেছেন যে তাঁকে বিবৃতি দিয়ে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হলো! শনিবার ডাউন টাউনের ট্রিনিটি পার্কে হাজারো মানুষের সমাগম হ্ওয়ার কথাটা সবাই জানেন। পার্কে এতো মানুষের সমাগমের খবর শুনে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি তদারকি করতে, কি ঘটছে সেটা দেখতে। সিটি মেয়রের তো সেটা দায়িত্ব। তা হলে তিনি মাফ চাচ্ছেন কেন?

শনিবার বেশ কয়েকটি পার্কেই পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র জন টরি।ট্রিনিটি পার্কেও তিনি গিয়েছিলেন জনসমাগমের খবর শুনে। সেখানে তিনি সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে পারেননি। তিনি মানতে পারেননি- মানে এতো লোকের ভিড়ে মানা সম্ভব হয়নি। ৬ ফুটের সীমানা লংঘন করে অনেক মানুষ তার পাশ দিয়ে হেটে গেছে। পার্কে আসা অনেকের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন। সেই সময়ে অনেকেই তার ৬ ফুটের সীমার মধ্যে চলে এসেছেন। সিটি মেয়র হিসেবে সেটিকেই বিচ্যূতি হিসেবে দেখছেন জন টরি। তিনি মনে করছেন, যে ভাবেই হউক সামাজিক দূরত্বের বিধি লঙ্ঘন হয়েছে এবং সিটি মেয়র হিসেবে তিনি সেটা করতে পারেন না।

তিনি জানিয়েছেন, তিনি পার্কে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু সেটি যথাযথভাবে তিনি পরতে পারেন নি। সেটাও একটা ভুল।

শহরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সিটি মেয়র বলেন, শহরের নেতা ( মেয়র) হিসেবে আমার এর ভালো উদাহরণ তৈরি করা দায়িত্ব এবং সামনে সেটি আমি স্মরণ রাখবো।

মুখের মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখে ৬ ফুটের কম দূরত্বে থেকে সিটি মেয়র কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছেন এমন একটি ছবি ট্যুইটারে ভাইরাল হয়েছে। নাগরিকদের মধ্য থেকে কেউ একজন ছবিটি টুইট করে প্রশ্ন করেছেন,এভাবেই কি তুমি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাও? সামাজিক মাধ্যমে এই সমালোচনার পরই মেয়র ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন বলে জানা য়ায়।

একটা দেশ তো আর এমনিতেই এগিয়ে যায় না, তার ভালো নেতাও থাকতে হয়।

লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর