কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। উনি আমার শ্রদ্ধেয় দীপক দাদা। উত্তরা ক্লাব সূত্রে পরিচয়। তারও আগে আমার শ্বশুর সেলিম গাফফার, একজনের বিষয়ে প্রায়ই গল্প করতেন। আব্বুর কাছে গল্প শুনে, দাদার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়েছে সেই অনেক বছর আগে।
যেদিন সামনা সামনি প্রথম দেখলাম, সাদা মাটা একজন মানুষ। বুঝতেই পারিনি দাদার ফেক্টরিতে দশ হাজার শ্রমিক কাজ করে।
অর্থাৎ দশ হাজার লোকের কর্ম সংস্থান। যেটা বলতে গিয়ে শিবের গীত গাইছি তা হলো, দাদার বিশাল গার্মেন্ট (ল্যান্ডমার্ক গার্মেন্টস) ঢাকা শহরের সমস্ত গার্মেন্টস ব্যবসায়ি এক নামে চিনেন।
দাদা সোজা জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা হজে যাবে? চারজনই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বেহুশ হওয়ার উপক্রম। যথা সময়ে তাদের পাসপোর্ট থেকে শুর করে হজের সব প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দিলেন। বিশ্বাস হয়?
দাদা ১৪ জন মুসলিমকে হজে পাঠিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। এমন একজন সাদা মনের মানুষের সাথে আমাদের উঠা বসা, কি সৌভাগ্য আমাদের। যখনই রাস্তায় কোন অসুস্থ-অসহায় লোককে পেয়েছেন, গাড়িতে উঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, চাকরি দিয়েছেন, ব্যবসা ধরিয়ে দিয়েছেন।
উনি কি মানুষ? না আপনাদের ভাষায় উনি মানুষ নন, উনি হিন্দু। তাই না? আমি তো চাই এমন, একজন দীপক বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নিক।
উনি কি কোন পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য এসব করেন? না ভাই। মনের তাগিদে করেন। উনার গল্প উনি কোনদিন কাউকে বলেন না।
কারও বাহবাও চান না। তারপরও আমরা এমন কেনো? পান থেকে চুন খসলেই জ্বালাও, ভাঙো, মারো।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন