২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:২৬

এখনকার সায়েন্স ফিকশান ‘এক্স=প্রেম’ এর চেয়ে কয়েকশ’গুণ স্মার্ট

তসলিমা নাসরিন

এখনকার সায়েন্স ফিকশান ‘এক্স=প্রেম’ এর চেয়ে কয়েকশ’গুণ স্মার্ট

তসলিমা নাসরিন। ফাইল ছবি

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এক্স=প্রেম দেখা হলো। কলকাতায় বাস করার সুযোগ থাকলে অনেক আগেই ছবিটি নন্দনে বা কোথাও দেখা হয়ে যেত। দেরিটা দূরে থাকার জন্য। অবশ্য ওটিটি প্লাটফর্ম আছে বলে রক্ষা। তা না হলে কত কিছুই না-দেখা থেকে যেত। ছবির নামটি অভিনব। এক্স আছে বলে নয়, প্রচুর ছবি শুরু হয়েছে এক্স দিয়ে, আমার প্রিয় একটি ছবির নামই এক্স মাকিনা। এক্স হসন্ত বা এক্স ড্যাস দিয়েও অনেক ছবির নাম শুরু হয়েছে। অভিনব ওই = টি। ওটি সৃজিত।

ছবিটি সাদা কালো, এতে আমার আপত্তি নেই। রোমার মতো বা দ্য আর্টিস্টের মতো অসাধারণ ছবিও সাদা কালো। রঙিন ছবির যুগে উডি অ্যালেন, স্টিভেন স্পিলবার্গ, স্পাইক লীও সাদা কালো ছবি বানিয়েছেন। আপত্তি তবে কেন? আপত্তি ওই সায়েন্স ফিকশানে। বিশেষ করে আমার মতো সায়েন্স ফিকশান লাভারের কাছে এক্স=প্রেম কোনও নতুন গল্প নয়। বরং ধারণাটা বেশ পুরানো। এখনকার সায়েন্স ফিকশান এর চেয়ে কয়েকশ'গুণ স্মার্ট। যদি  নতুন গল্প, নতুন স্টাইল, নতুন ফিকশান না দেখা যায়, তবে পুরানো স্কচের বোতলে বাংলা খেয়ে ক’জনের আর নেশা হবে!

আমাদের স্মার্ট পরিচালক সৃজিতের কাছে  হয়তো আমার এক্সপেক্টেশনটা বেশিই ছিল। তাঁর ছবির গল্প, চরিত্র, সংলাপ সব অবাস্তব ঠেকেছে আমার কাছে। সায়েন্স ফিকশান তখনই সার্থক হয়ে ওঠে, যখন মনে হয় ফিকশানটি সত্যিই ঘটছে, ফিকশানটি ফিকশান নয়। দুঃখের আরেকটি কথা, ছবির শুরুর দিকেই বুঝতে পারছিলাম কী হতে যাচ্ছে, অর্ণব তার মেমরি দিয়ে দেবে, খিলাতের আর মেমরির দরকার হবে না। প্রেডিক্ট করা যায় এমন ছবি বেশিক্ষণ টানে না। 

তারপরও সৃজিতের ছবি বলে কথা। ভালো কিছু তো আছেই ওতে। তা নাহলে পুরোটা ছবি পর্যন্ত বসে রইলাম কী করে!  বাংলার চলচ্চিত্রে এর মধ্যে অনেক আজগুবি জিনিস এসেছে, যথেষ্ট মারামারি খুনোখুনি এসেছে, রহস্য টহস্যও যথেষ্ট এসেছে, কারও হাত ধরে সায়েন্স ফিকশান বাংলায় আসুক, তবু আসুক। 

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

সর্বশেষ খবর