২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৬

দিনাজপুরে দুর্লভ প্রজাতির কেলি কদম ফুল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে দুর্লভ প্রজাতির কেলি কদম ফুল

দিনাজপুরে দুর্লভ প্রজাতির কেলি কদম ফুল

বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় কেলি কদম উদ্ভিদে ফুল ফুটেছে। বর্ষাকালের শেষে বা শরৎকালের শুরুতে এই উদ্ভিদে ফুল ফোটে। ফুলটি কদমের ন্যায় কিন্তু অতিক্ষুদ্র এবং মাধুর্যময়। তবে এখনও কেউ এ গাছের ফল ফুটতে দেখেন নি। আবারও গাছটিকে নিয়ে রয়েছে নানান পৌরণিক কথা।

দূর্লভ এই কেলি কদম বৃক্ষটি দিনাজপুর সরকারি কলেজের উত্তর-পশ্চিম কোণে জীববিজ্ঞান ভবনের পিছনে রয়েছে। ৪০-৫০ ফুট উঁচু শাখা-প্রশাখাযুক্ত বৃক্ষটির সঠিক বয়স জানা না গেলেও এর বয়স শত বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গে এর অস্তিত্ব আর কোথাও পাওয়া যায়নি বলে দাবি দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও লেখক মো. দেলোয়ার হোসেনের। টিস্যু কালচার পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিলুপ্ত প্রজাতির গাছটির চারা উৎপাদনে আরও উন্নত গবেষণা হতে পারে, এজন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের উদ্ভিদ গবেষকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।  

দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তথ্যমতে, কাস্টল উদ্ভিদটির পাতা কর্ডেট এবং বড় বড় আকৃতির, ফুলটি কদম ফুলের ন্যায় তবে তুলনামূলক খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির। রুবিয়াসেই গোত্রের উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম- আডিনা কার্ডিফলিয়া 

কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, শিক্ষকদের সহাযোগিতায় উদ্ভিদটির বংশবিস্তারকরণের বিষয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চারা উৎপাদনে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করেও চারা করা যায়নি এবং চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি  অধ্যাপক ও লেখক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্লভ প্রজাতির এ উদ্ভিদটি অত্র অঞ্চলে আর কোথাও থাকার কোনো রেকর্ড এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসে থাকা গাছটি থেকে বিগত বিশ বছর পর্যবেক্ষণ করেও গাছটি থেকে চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি আরও জানান, দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদটি বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান গাজীপুরের মধুপুর শালবনে থাকার তথ্য জানা যায়। বিভিন্ন সূত্র মতে উপমহাদেশে উদ্ভিদটি দুর্লভ এবং উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর সরকারি কলেজে বিপন্ন উদ্ভিদটির একটিমাত্র বিদ্যমান যা ১৯৯৮ সাল থেকে দেখে আসছি। তবে ক্যাম্পাসের এ গাছটিতে ফুল হতে দেখা গেলেও এখনও ফল দেখা যায়নি। 

উল্লেখ্য, কেলি কদম এশিয়ায় প্রাপ্ত একটি গাছের প্রজাতি মূলত বর্ষার আগে ফুল ফোটে। তখন থোকা থোকা ফুটে থাকে। অর্জুন গাছের সাথে চেহারায় কিছুটা মিল আছে।


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর