২ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৪৭

নেত্রকোনায় পৌর শহরজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় পৌর শহরজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটিতে আতঙ্কিত নেত্রকোনা পৌরবাসী। দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন সড়কে হেলে রয়েছে অসংখ্য খুঁটি। এছাড়াও খুঁটি না সরিয়ে সড়ক প্রশস্ত করায় সড়কের ওপরে চলে আসা খুঁটি অপসারণে নেই উদ্যোগ। তার ওপর জরাজীর্ন অবস্থায় ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন খুঁটিতে নানা তারের সংযোগ। এতে করে দুর্ঘটনাসহ অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কায় শহরবাসী। 

জানা গেছে, নেত্রকোনা শহরে প্রায় ১২ কিলোমিটার ৩৩ কেবি লাইন রয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রভাবশালী এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে বাড়তি ৭৫ কিলোমিটার অংশে ১১ কেবি লাইন ও ১১ /০.৪ লাইন থেকে টেনে নেওয়া লাইনের সংখ্যা রয়েছে ১৪০ কিলোমিটার। মোট ৯টি ফিডারের আওতায় ১৮১টি ট্রান্সফরমার কাজ করছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের সাইজ ১০০ কেভিএ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫০ কেভিএ। প্রায় ৪৯ হাজারের মতো গ্রাহক রয়েছে জেলা শহরে। সর্বমোট ৩ হাজার ৬৬০টি বিদ্যুতের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হচ্ছে। যার মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ওপর প্রায় ১০৫টি খুঁটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেতর ২১টি খুঁটি সড়কের ওপরে এবং প্রায় মাঝখানে। 

সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, মানবাধিকার কর্মী সালাহউদ্দিন রুবেল, ব্যবসায়ী অমিত সাহাসহ পথচারীরা বলেন, গত প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে প্রতিটি সড়ক প্রশস্থকরণ করার ফলে এবং খুঁটিগুলো না সরিয়েই এই প্রশস্থকরণ করায় এখন খুঁটিগুলো প্রায় সড়কে মাঝখানে। অনেক খুঁটি হেলে আছে। এছাড়াও জরাজীর্ন অবস্থায় শহরের বড়বাজার এলাকায় বেশিরভাগ খুঁটি। ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। যানবাহনসহ চলাচলে পথচারীরা রয়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে। এসব খুঁটিতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা সহ পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান জানান, নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে সাতপাই রেলক্রসিং, পারলা ঢাকা বাসটার্মিনাল থেকে মোক্তারপাড়া সেতু এলাকা, মোক্তারপাড়া এমপি গলি থেকে শুরু করে তেরিবাজার, বড়বাজার, মালনি রোডসহ জেলার প্রায় বেশিরভাগ এলাকায়  মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে। সড়কের কাজ করার সময় সড়কের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর কথা বললেও নানা কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের দেখা না পাওয়াকেই দায়ী করছেন। সেইসাথে এখনো সহযোগিতা করে সরানোর উদ্যোগের কথা জানান। 

অন্যদিকে, বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাহমুদ এলাহী বলেন, সড়কের ওপরে নয়। পাশে রয়েছে। তবে এখন সড়ক ভেঙ্গে করাটা খুব কঠিন। এগুলো সড়ক করার পূর্বেই করা উচিৎ ছিলো। তারপরও আমরা অধিক ঝুঁকিপূর্ন লাইনগুলো সড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বড় বাজার মসজিদের এখানে সরানোও হয়েছে। জায়গা না থাকায়ও অনেকগুলো অপসারণ করা যাচ্ছে না।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর