রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

সরকারি আদেশ অমান্য করে তবুও তিনি বহাল

আর্মস ফোর্সেস ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সরকার তাকে দুই মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেও তিনি গতকাল পর্যন্ত স্ব-পদেই বহাল রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে হাসান উল হায়দার পদোন্নতি পান চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি। অভিযোগ উঠেছে, পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই তিনি তার ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে নিজের ইচ্ছামতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে_ এপিবিএন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে তাকে এপিবিএন সদর দফতরে পদায়ন করা হলেও তিনি নিজের পদবির পাশে অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও ইন্টেলিজেন্স) লিখে আসছেন। অথচ তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি এপিবিএনে তার ইউনিট প্রধানকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন চিঠিপত্র ইস্যু করেছেন। এমনকি অনেককে কৈফিয়ত তলব করেছেন। ইউনিটপ্রধানের মতো তিনি নিজে প্রায় সব বিষয়ে দাফতরিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট ১৮টি লিখিত অভিযোগ এনে গত ২৫ জুলাই অতিরিক্ত ডিআইজি হাসান উল হায়দারের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে অভিযোগ করা হয় এপিবিএন সদর দফতর থেকে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. হাসান উল হায়দারকে ২৯ আগস্ট থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ২৭ আগস্ট। এতে বলা হয়, গুরুতর অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫-এর ১১(১) বিধি মোতাবেক তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ২৯ আগস্ট থেকে এ আদেশ কার্যকর করার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত একই পদে এবং কর্মস্থলে বহাল আছেন হাসান উল হায়দার। তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

সর্বশেষ খবর