রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ সুবিধা দেয় না

যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ সুবিধা দেয় না

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো সুবিধা পায় না। এ মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও সুবিধাজনক (কমফোরটেবল) নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও মেঙ্েিকা সফর শেষে দেশে ফিরে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের বিনা শুল্কে পোশাক রপ্তানির কথা। কিন্তু আমাদের শুল্ক দিতে হয়। বছরে দেশটিতে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করি। এ জন্য আমাদের ২৫ শতাংশ হারে এর প্রায় ৮০ কোটি ডলার শুল্ক দেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নানা বিষয়ে মাথা ঘামায়, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা মোটেও দেয় না। পাঁচ বছর ধরে আমি এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে বলে আসছি, কিন্তু এতে দেশটির সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে না, ঠাণ্ডাই ছিল। আমরা এটাকে একটু সফট করার চেষ্টা করছি। পলিটিক্যালি আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কটা 'কমফরটেবল' নয়।

প্রসঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস : অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস নিয়ে হৈচৈ করে। তারা বলে থাকে, ওই ব্যাংকে তারা কোনো দিনই বিশেষ কোনো টাকা-পয়সা দেননি। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, ড. ইউনূস তাদের দেশে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। তার যেন কোনো অসম্মান না হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি আগেও বলেছি, ড. ইউনূসকে অসম্মান করার আগ্রহ আমাদের কখনো ছিল না। আমরা তার সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি হাইকোর্টে যান, সেখানে গিয়েও হেরে যান। তারপর থেকে তার সঙ্গে আমাদের তেমন কথাবার্তা হয় না। সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন নিয়ে একটা কথা উঠেছে। এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের যে ৯ জন পরিচালক, ৩০ বছর ধরে ড. ইউনূস তাদের নিয়োগ বা মনোনয়ন দিয়ে আসছেন।

চলতি বছর ২০৭ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক : অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট চলতি অর্থবছরে ২.৭ বিলিয়ন (২০৭ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ২.৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পদ্মা সেতু ইস্যুতে ২০১১-১২ তে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা ১.২ বিলিয়ন ডলার ফেরত নিয়েছে। কিন্তু এখন ২.৭ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর