শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

থাইল্যান্ডে এবার অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে বিক্ষোভ

থাইল্যান্ডে আদালতের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের পর এবার অন্তর্বর্তী সরকারকে হটাতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিরোধীরা। গতকাল নির্বাচন স্থগিত, বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে ইংলাকসহ তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টির অন্তর্বর্তী সরকারই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এ সরকারের অধীনেই আগামী ২০ জুলাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা এ সরকারের পতন চাইছে এবং নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে রাজনীতিতে ইংলাকের ভাই, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রভাব দূর করতে এর আমূল সংস্কারের দাবিও রয়েছে বিরোধী ডেমোক্রেট পার্টির। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিরোধী নেতা সুথেপ থাগসুবান। এই সময় নেতা-কর্মীদের পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সরকারপন্থি হিসেবে পরিচিত পাঁচটি টেলিভিশন ভবনের বাইরে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। থাইল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণি পুয়ে থাই পার্টির নেতা থাকসিনকে একজন দুর্নীতিবাজ পুঁজিপতি হিসেবে প্রচার করে আসছে। তবে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে গণমুখী কিছু পদক্ষেপের জন্য গ্রামীণ জনপদে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৮ সালে কারাদণ্ড হওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান পুয়ে থাই পার্টির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তবে বিদেশে অবস্থান করেও ইংলাক সরকারে তিনি প্রভাব রেখে আসছিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গভার্নমেন্ট হাউস ও পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে একটি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন সুথেপ। এসব এলাকায় বিক্ষোভকারীদের তাঁবু খাটিয়ে রাতে অবস্থানের নির্দেশ দেন তিনি। ওদিকে, ব্যাংককের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ভবনকে ঘিরে এক বিক্ষোভ মিছিল হলে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় চার বিক্ষোভকারী আহত হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইংলাক পদচ্যুত হওয়ার পর ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে তার সমর্থক 'রেড শার্ট' কর্মীরা। আজ ব্যাংককের রাজপথে তারা বড় ধরনের বিক্ষোভে নামার ঘোষণা দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর