জনশক্তি রপ্তানি নিম্নমুখী। ২০১২ সালে যেখানে বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছেন ৬ লাখ ৭ হাজার জন সেখানে ২০১৩ সালে গিয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার জন। এ হিসাবে প্রায় দুই লাখ জনশক্তি কম রপ্তানি হয়েছে গত বছর। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাহিদা না থাকার কারণেই কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও ৪ লাখের বেশি জনশক্তি রপ্তানি একটি বিশেষ সাফল্য। অবশ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শুধু আরব আমিরাতেই আগের বছরের তুলনায় প্রায় দুই লাখ কম রপ্তানি হয়েছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান অনুসারে, স্বাধীনতার পর ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বিদেশে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছিল। ২০০৭ সালে চাকরি নিয়ে বিদেশ গেছেন ৮ লাখ ৩২ হাজার জন। ২০০৮ সালে গিয়েছেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার জন। কিন্তু ২০০৯ সালে জনশক্তি রপ্তানি ৪ লাখ ৭৫ হাজারে নেমে আসে। ২০১০ সালে আরও কমে ৩ লাখ ৯০ হাজারে। জনশক্তি রপ্তানিতে ওই দুই বছরের ধস কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি। তবে পরের বছর পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। ২০১১ সালে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬২ শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যান। ২০১২ সালে আরও কিছুটা বেড়ে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৯৮ জন। কিন্তু ২০১৩ সালে আবার কমে তা হয় ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫৩ জন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে সৌদি আরবে ২১ হাজার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২ লাখ ১৫ হাজার, কুয়েতে ২ জন, ওমানে এক লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ জন, কাতারে ২৮ হাজার ৮০১ জন ও বাহরাইনে ২১ হাজার ৭৭৭ জন গেছেন। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে সৌদি আরবে ১২ হাজার ৫৬৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ৬২৬ জন, কুয়েতে ৬ জন, ওমানে এক লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন, কাতারে ৫২ হাজার ৬১১ জন ও বাহরাইনে গেছেন ২৩ হাজার ৫০৬ জন। সে হিসেবে এক বছরে শুধু আমিরাতে ২ লাখ তিন হাজার জন কম রপ্তানি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে নতুন জনশক্তি পাঠানো কমে যাওয়ার কারণ বাংলাদেশিদের নানান অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়া ও ভিসার অপব্যবহার, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা, নতুন বাজার ধরতে সরকারি তৎপরতার অভাব, বেশ কয়েকটি শ্রমশক্তি আমদানিকারক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ও দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতা। অবশ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেও জনশক্তি রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এছাড়া কুয়েতে গত কয়েক বছর ধরেই জনশক্তি রপ্তানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারে ব্যাপক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেখানে রপ্তানি হচ্ছে কম।
প্রথমবারের মতো কমেছে রেমিট্যান্স : জনশক্তির নিম্নমুখী ধারার জন্য কমেছে রেমিট্যান্স এবং এর প্রভাব পড়ছে রপ্তানি আয়ে। এর আগে ১৯৭৬ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই রেমিট্যান্স বেড়েছে। অনেক সময় রপ্তানি কম হলেও বেড়েছে রেমিট্যান্স। কিন্তু ২০১৩ সালে এসে প্রথমবারের মতো আগের বছরের তুলনায় কম রেমিট্যান্স এসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম রেমিট্যান্স এসেছে আগের বছরের তুলনায়। ২০১২ সালে এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল, ২০১৩ সালে এসে তা হয়েছে এক লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
শিরোনাম
- ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
- কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
- মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
- নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
- ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
- অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
- নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
- সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
- ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
- শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
- মার্কিন সিনেটে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
- ‘হলি আর্টিজান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’
- জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
- আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
- জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প
- জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি
- বিশেষ অভিযানে আরও ১৩০৫ জন গ্রেফতার
- ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু
নিম্নমুখী জনশক্তি রপ্তানি
গত এক বছরে কমেছে ২ লাখ
জুলকার নাইন
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর