মানব সৃষ্টির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত। আর ইবাদতের দাবি হলো মানুষ পৃথিবীতে আসার পর থেকে সকাল-সন্ধ্যা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর ইবাদতে কাটাবে। কারণ আল্লাহতায়ালা বলেছেন, আল্লাহতায়ালা মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন এই শর্তে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। (সূরা তাওবা-১১১) আল্লাহ মহান জান্নাতের বিনিময়ে আমাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন। এই জীবন যেহেতু আমাদের নয়, আবার আমাদের সৃষ্টিও করেছেন আল্লাহ তাঁর ইবাদতের জন্য। এ অবস্থায় আল্লাহ যদি বলতেন, তোমরা শুধু আমার ইবাদত-বন্দেগি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতে পারবে না। আয়-উপার্জন, পানাহার কিছুই করা যাবে না, তাহলে তো এটা খুবই যৌক্তিক ছিল। কিন্তু দয়াময় মাবুদ আমাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করার পরও তা আবার আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন নাও তোমার জীবন তুমিই ব্যবহার কর, তবে এটা ওটা কর, সেটা কর না বলে একটি নির্দেশ আরোপ করে দিয়েছেন। আল্লাহও জানতেন যে, বান্দা যখন জীবন ও সম্পদের পেছনে ছুটবে তখন তার অন্তর পাপের কালো পর্দায় ঢেকে যাবে। সে ভুলে যাবে তার জীবনের উদ্দেশ্য, সে ভুলে বসবে এই জীবন যে তার নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দাকে তার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে নিতে দান করেছেন রমজান। সুফিদের মতে বান্দা যদি রমজানে আল্লাহর রসুলের একটি হাদিসের ওপর আমল করতে পারে তাহলে সে তার জীবনের মৌলিক উদ্দেশ্য সাধনে শতভাগ সফল হতে পারবে। হাদিসটি হলো- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেছেন, চারটি গুণ এমন রয়েছে, যদি তা তোমাদের মধ্যে এসে যায় তাহলে তুমি দুনিয়ার কোনো নেয়ামত না পেলেও তোমার কোনো দুঃখ হওয়া উচিত নয়। এ চারটি গুণ হলো- ১. আমানত সংরক্ষণ করা ২. সত্য কথা বলা ৩. সচ্চরিত্রতা অবলম্বন করা ৪. পবিত্র খাবার গ্রহণ করা। কোরআন-হাদিসের বহু স্থানে আমানত সংরক্ষণের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরআনের ভাষায়, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আমানতগুলোকে তার প্রাপকের কাছে দিয়ে দিতে নির্দেশ করেছেন। (সূরা নিসা) হাদিসে পাকে আল্লাহ আমানতের খেয়ানতকে মুনাফেকের চরিত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থাৎ এটি এমন গুণ যা পালন না করলে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যায় না। মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের অভিশাপ রয়েছে। একটি জাতির ধ্বংসের জন্য একজনের একটি মিথ্যা কথাই যথেষ্ট। সচ্চরিত্র হচ্ছে মুমিনের পোশাক। আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছি চারিত্রিক সৌন্দর্যের চূড়ান্ত বিকাশের জন্য। (বুখারি) হারাম খাদ্য বর্জন করতে হবে। হাদিসে এসেছে, যে হারাম খায় তার কোনো ইবাদত কবুল হয় না। হাদিসটির প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সুন্দর ও সঠিক পথে পরিচালনা করার যাবতীয় উপকরণ রয়েছে এতে। রমজান মাস যেহেতু সাধনার মাস, সিয়াম সাধনার পাশাপাশি আমরা যদি এই চারটি গুণ সাধনা করে অর্জন করতে পারি তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিশ্চয় আমাদের সঠিক পথের সন্ধান দেবেন। আমাদের ক্ষমা আর মুক্তির সনদে সম্মানিত করবেন।
আসুন এবারের সিয়াম থেকে সেই প্রতিজ্ঞা করি। জীবনভর আমরা হালাল উপার্জন করব এবং হারাম পথ বর্জন করব। হে আল্লাহ আমাদের জীবন সহজ করে দিন।
লেখক : বিশিষ্ট মুফাচ্ছিরে কোরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
মোবারক মাহে রমজান
হে আল্লাহ বিনীত জীবন দান করুন
মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর