ঢাকার সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের ঘটনায় গোটা পশ্চিমবঙ্গ কেঁপে উঠেছে। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লে. জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘এই অমানবিক কাজের দায় পশ্চিমবঙ্গ এড়িয়ে যেতে পারে না। কারণ আমরা জেনেছি বর্ধমানের খাগড়াগড় থেকেও বোমা বানিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হতো। সে সময় কেউ কেউ বলেছিলেন, ছেলেরা কালী পুজোর পটকা বানাচ্ছিল। এটা সামান্য ঘটনা।’ জেনারেল রায়চৌধুরী মনে করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে গুলশান হামলার কোথাও যোগসূত্র থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, পাঁচ-সাত বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে যে জামায়াতিরা আশ্রয় নিয়ে আছে তাদের অবিলম্বে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে। মানবতাবিরোধী এই কাজের কোনো অর্থ হয় না। মেনে নেওয়া যায় না। পাকিস্তানে কাজ করা ভারতের সাবেক কূটনীতিবিদ পার্থসারথির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সরদার আমজাদ আলী উভয়েই মনে করেন, ঢাকার কাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তারা ইসলামবিরোধীই নয়, তারা ইসলামের শত্রু। ইসলাম এ ধরনের নাশকতাকারীদের ক্ষমা করবে না। তারা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। যেভাবে হাসিনা সরকার এই পরিস্থিতি সামলেছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘সীমান্তে কড়া নজরদারি করুন। আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের পরিচয় জেনে নিন।’ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কলকাতাসহ রাজ্যের হোটেল এবং লজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয়েছে গাড়ি তল্লাশি। কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন— এ ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল বাংলাদেশের মুজাহিদীন আর ভারতের মুজাহিদীনদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত জেলাগুলোয় শুধু বিএসএফই নয়, রাজ্য পুলিশকেও জামায়াত আশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। রেল ও সড়কপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকতে না পারে। পাঁচ-সাত বছর চুপ করে বসে থাকার পর শুক্রবারই বিকালে উত্তর চব্বিশ পরগনায় এক জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মন্তব্য করেন, সীমান্তের হালচাল উদ্বেগজনক। এর মোকাবিলা করতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি এতদিন জামায়াতিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন কেন? কেন তিনি তাদের ভারত সরকারের হাতে তুলে দেননি? সাবেক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর তেমন কোনো নির্দেশ ছিল না। গুলশানের ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গেও থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার বলেন, এই জঘন্যতম অপরাধের ক্ষমা নেই। সব শ্রেণির মানুষের উচিত শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করা।
শিরোনাম
- হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
- ১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
- যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
- দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
- ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
- হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
- জার্মানিকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি তৎপরতায় লিপ্ত ৮০ হাজার বিদেশীর ভিসা বাতিল
- ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
- ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
- রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কলকাতার চিঠি
প্রত্যক্ষ যোগাযোগ দুই দেশের মুজাহিদীনের মধ্যে
সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর