‘আমি বাইনোকুলার দিয়ে দেখতে পাচ্ছি, আমার বাসার চারদিক র্যাব-পুলিশ ঘিরে রেখেছে। হয় তো একটু পরে আমি পৃথিবীতে থাকব না। আমি আমার সঙ্গে থাকা সব তথ্য পুড়ে ফেলেছি। এ রকম কোনো পরিস্থিতি এলে তুমিও সবকিছু ধ্বংস করে দিও। আমার অনুপস্থিতিতে মেজর মুরাদ, মারজান, রিপন ও খালিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে। কোনোভাবেই মনোবল ভাঙা যাবে না। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’ গত ২ সেপ্টেম্বর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত তানভীর কাদেরী ওরফে করিমের ল্যাপটপ থেকে এমন বার্তা উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে নিহত তামিম আহমেদ চৌধুরী তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শীর্ষ জঙ্গি করিমকে বিশেষ অ্যাপস ‘চ্যাট সিকিউর’-এর মাধ্যমে এই বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) কাছে তিন দিনের রিমান্ডে থাকা তানভীর কাদেরীর কিশোর ছেলে তাহ্রীম কাদেরী ওরফে রাসেলের রিমান্ড শেষ হয়েছে গতকাল। আজ তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। পুলিশের দাবি, এরই মধ্যে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আদায় করতে পেরেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে সিটি ইউনিটের উপ-কমিশনার মুহিবুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে গত তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাসেল ও তার দুই ভাই তার বাবার কাছ থেকে উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। তাদের প্রতি তার বাবার নির্দেশনা ছিল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের এই পথে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবে তা হবে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে। দীনি ভাইদের সর্বাবস্থায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতেন তার বাবা তানভীর কাদেরী। পর্যায়ক্রমে তাদের অস্ত্র এবং বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল মেজর জাহিদের। তবে ২ সেপ্টেম্বর বিকালে তাদের বাসা থেকে বের হয়ে রূপনগর গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার বাবাসহ বাকি সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছিল। তবে হতাশ হয়ে পড়েনি তারা। এ কারণে তারাও আজিমপুরের বাসা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে অতিরিক্ত নজরদারির জন্য তারা বাসা বদল করতে সাহস পায়নি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তারা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র আরও বলছে, র্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে যোগাযোগের জন্য উইকার, টেলিগ্রাম, চ্যাট সিকিউর নামের বিশেষ ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করত নব্য জেএমবির সদস্যরা। নিহত জঙ্গি করিম ব্যবহার করতেন চ্যাট সিকিউর। আজিমপুরে করিমের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তামিম চৌধুরী, মারজান, রাজীব গান্ধীসহ অনেক শীর্ষ জঙ্গির। রাসেলের বরাত দিয়ে সূত্র আরও বলছে, তামিমের নির্দেশনাতেই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তার বাবা তানভীর কাদেরী ওরফে করিম। তবে তামিমের অনুপস্থিতিতে মেজর জাহিদ এবং মারজানের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশনা ছিল তামিমের। গত ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের ২০৯/৫ পিলখানা রোডের ছয়তলা আবাসিক ভবনের দ্বিতীয়তলায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। পরে ওই বাসা থেকে আহতাবস্থায় তিন নারীকে আটক করে পুলিশ। আটক করা হয় তানভীর কাদেরীর যমজ দুই ছেলের একজন রাসেলকে। তারা ধানমন্ডির একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অপর ছেলের হদিস এখনো পুলিশ পায়নি।
শিরোনাম
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
জঙ্গি তামিম শেষ বার্তায় যা বলেছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর