শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক বছরে কর্মসংস্থান ৩৭ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক বছরে কর্মসংস্থান ৩৭ লাখ

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, গত বছর দেশে এবং দেশের বাইরে মিলে ৩৭ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে ১৪ লাখ লোকের। বিদেশে গেছেন ১০ লাখেরও বেশি লোক। আর অবৈতনিক থেকে বেতনভোগীতে রূপান্তরিত হয়েছেন আরও ১৩ লাখ লোক। গতকাল শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী            বলেন, দিনে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কাজ করে এমন লোককেও এই কর্মসংস্থানের তালিকায় রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ সমালোচনা করে বলেন, আয়বৈষম্য আছে। টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না। সবার কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে না। বাস্তবে এটি ঠিক নয়। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে। অর্থাৎ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তিনি জানান, বাংলাদেশে নির্ভরশীল মানুষের অনুপাতও কমছে। আশির দশকে প্রতি ১০০ জনে ৮০ জন লোক ছিল নির্ভরশীল। বর্তমানে তা ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

সামষ্টিক অর্থনীতিতে গত বছর কিছু নেতিবাচক চিত্র থাকলেও এবার তার সবটিতেই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর এই সময় রপ্তানি আয় দেড় শতাংশ ছিল, যা এবার সাড়ে ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি এবার সাড়ে ১২ শতাংশ। এটি ধরে রাখতে পারলে বছর শেষে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় হবে। এ ছাড়া রাজস্ব আয়েও ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, খারাপ মানের প্রতিষ্ঠান যেগুলো শেয়ারবাজারে আছে, তাদের ক্যাপ করে দেওয়া উচিত, যাতে নির্দিষ্ট টাকার বেশি শেয়ারের দাম বাড়তে না পারে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ব্যবসায়ীদের বৈধ পথে বিদেশে টাকা নেওয়ার সুযোগ দিলে অবৈধ পথে অর্থ পাচার কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বাড়বে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৬০ লাখ লোক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পান। এটি বাড়িয়ে ১ কোটি লোককে এ সুবিধা দেওয়া হবে। হাওরাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর