বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
দ্বিতীয় বৈঠক ভিয়েতনামে

কী কথা হলো ট্রাম্প-কিমের

প্রতিদিন ডেস্ক

কী কথা হলো ট্রাম্প-কিমের

দ্বিতীয়বারের মতো সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। গতকাল ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের মেট্রোপোল হোটেলে দুই দেশের পতাকার সারির সামনে দাঁড়িয়ে কিম ও ট্রাম্প দুজনই হাসিমুখে করমর্দন করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আলোচনা খুবই সফল হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি থেকেও যুক্তরাষ্ট্র সরবে না। কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবেন কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সেটি আমরা দেখব।’ ওদিকে কিমও বৈঠকের আলোচনা খুব সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তারা ভিয়েতনামে দ্বিতীয় বৈঠক করার পথে বাধা টপকাতে পেরেছেন এবং এখন ধৈর্য ধরা প্রয়োজন।

প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা, এরপর কয়েক দফা বৈঠক হওয়ার কথা। গতকালের কর্মঘণ্টা অনুযায়ী প্রথমে ২০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হবে। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ভোজনপর্ব সারবেন তারা। আজ দুই নেতার মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে তারা কী নিয়ে আলোচনা করবেন সে সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায়নি। তবে দুই দিনের এ সম্মেলনে তারা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া, কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনও এদিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকের আগে ট্রাম্প ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও দেখা করেছেন। গতকাল এক টুইট বার্তায় সম্মেলনের আয়োজক দেশটির ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘পৃথিবীর অল্প কিছু এলাকার মতো ভিয়েতনামও সমৃদ্ধশালী। উত্তর কোরিয়াও শিগগিরই এ রকম হতে পারে, যদি তারা নিরস্ত্রীকরণ করে,’ বলেছেন ট্রাম্প।

এবারের বৈঠককে সিঙ্গাপুরে গত বছরের জুনে হওয়া প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকায় সিঙ্গাপুরের ওই বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা। এরপর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সামান্য অগ্রগতি দেখা গেলেও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সমালোচকদের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতির প্রমাণ দেখাতে এবার তাই বৈঠকে দুই নেতাই মরিয়া থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প অবশ্য শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরেছেন। বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তাড়াহুড়া নেই তার। ‘আমি কারও ক্ষেত্রেই তাড়াহুড়া করতে চাই না। কেবল (পারমাণবিক অস্ত্রের) পরীক্ষা দেখতে চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পরীক্ষা করছে না, ততক্ষণ আমরা খুশি,’ বলেছেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর