গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কিডনি রোগের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা প্রতিস্থাপন। কিন্তু বাংলাদেশের আইনই এই চিকিৎসার পথে অন্যতম বাধা। রক্তের নিকট আত্মীয় ছাড়া কেউ কিডনি দিতে পারে না। ফলে বছরে ২০০ কিডনিও দেশে প্রতিস্থাপন হয় না। অথচ, অন্তত ১০ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার প্রতি বছর। এসব রোগী ভারত, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর পাড়ি দেয়। ৩০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা খরচ করে। এভাবে বছরে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা শুধু ভারতেই চলে যায়। যারা এ টাকা খরচ করতে পারে না তারা মারা যায়। অথচ, সরকার চাইলে কিডনির সব চিকিৎসা দেশেই সম্ভব হতো। এক-দুই লাখ টাকায়ই এখানে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে কিডনির অভাব হবে কেন? আমি আমার সবকিছু দান করেতে পারি, কিডনি কেন পারব না? বরং কেউ কিডনি দান করতে চাইলে তাকে উচিত সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা। সেটা না করে উল্টো আইনি বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে নিজে ডায়ালাইসিস নেওয়া অবস্থায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই আমরা কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু করব। ১ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে অপারেশন করব। তবে কিডনি পাওয়া না গেলে সেটা সম্ভব হবে না। প্রতিস্থাপনের বিকল্প চিকিৎসা ডায়ালাইসিস। কিন্তু সারাজীবন এটা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। অনেক ব্যয়বহুল। রোগী সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি ডায়ালাইসিস ৬-৮ হাজার টাকা। মাসে খরচ হয় লাখ টাকার মতো। আমরা (গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টার) দরিদ্র রোগীদের থেকে রাখি ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। অথচ, আমাদের খরচ হয় ২ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, ডায়ালাইসিসের ব্যয় আরও কম হওয়া দরকার। কিন্তু এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রতিটি সরঞ্জাম আমদানিতে উচ্চ হারে ট্যাক্স দিতে হয়। এই খাতে তো সব ট্যাক্স মাফ করে দেওয়া উচিত। আমরা ভর্তুকি মূল্যে দৈনিক ২৪ ঘণ্টা ৪০০ থেকে ৪৫০ জন কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস দিচ্ছি। সরকারি কিছু হাসপাতালে সুলভে ডায়ালাইসিস করানো হয়। কিন্তু সেই যন্ত্রগুলো ২৪ ঘণ্টা চলে না। অনেক স্থানে অকেজো। এ ছাড়া ডালায়াইসিস রোগীর প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা মূল্যের একটি এরিথ্রপোয়োটিন ইনজেকশন দিতে হয়। কোম্পানির ১০০ টাকা লাভ ধরে ওই ওষুধের দাম ৬০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কিডনি রোগের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতি বছর এ রোগে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। চর্মরোগ থেকে কিডনি আক্রান্ত হয়। তাই এটাকে অবহেলা করা ঠিক না। এ ছাড়া ব্যথার ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের কারণে কিডনি রোগ বাড়ছে। খাবারে নানা রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। এটা কিডনির ক্ষতি করছে। মেয়েরা যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করছে তার অধিকাংশে কিডনির ক্ষতি করার মতো পদার্থ থাকে। এ ছাড়া স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ কিডনি রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ।
শিরোনাম
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
- ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
- আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
- শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
- ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
- ‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
- মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
- নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে : মির্জা ফখরুল
- জাতির মুক্তি হয়েছিল এই ৭ নভেম্বর : রিজভী
- অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
- রংপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
- শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : দুলু
যা বললেন বিশেষজ্ঞরা
চিকিৎসায় বাধা দেশের আইন
-ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর